মারামারি ও মামলার পর ভেঙে গেল তমা মির্জার সংসার

মারামারি ও মামলার পর ভেঙে গেল তমা মির্জার সংসার

বিয়ের দুই বছরের মাথায় চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদ হলো অভিনেত্রী তমা মির্জার। হিশাম চিশতীর সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর দুই পরিবারের সমঝোতার মধ্য দিয়ে তারা সংসার জীবনের ইতি টানেন। গণমাধ্যমকে অভিনেত্রী নিজেই খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

গত কয়েকদিন ধরে শোবিজে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, তমা মির্জার ডিভোর্স হয়ে গেছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক নিয়ে যাতে আর জলঘোলা না হয়, সেজন্য তিনি সব পরিষ্কার করে দিলেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা ২০১৯ সালে হিশাম চিশতীকে বিয়ে করেছিলেন। কিছুদিন পরই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-বিরোধ শুরু হয়। এরপর একে-অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে মামলা পর্যন্ত দায়ের করেন। সেসব ঘটনা নিয়ে সমালোচনা, বিতর্ক হয়েছে ঢের। মারধর, মামলা, আদালতের পর সম্পর্কের কাগুজে বন্ধন ছিন্ন করলেন এ প্রাক্তন দম্পতি।

জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর তমা মির্জাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন হিশাম চিশতী। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই সেটার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। বিচ্ছেদ নিয়ে তমা মির্জা বলেন, ‘বিষয়টা আমার একান্ত ব্যক্তিগত। এ নিয়ে কথা বলতে চাইনি। সত্যি কথা বলতে আমরা দুজন অনেক চেষ্টা করেছি একসঙ্গে থাকার, কিন্তু পেরে উঠিনি। তাই পারিবারিক জায়গা থেকে দুজনে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আলাদা হওয়ার। আমরা অফিসিয়ালি বিষয়টি জানাতে আরও সময় নিতে চেয়েছিলাম। যেহেতু সবাই জেনেছে, তাই চাই না যে এ নিয়ে আর জল ঘোলা হোক।’

উল্লেখ্য, তমা মির্জা ২০১০ সালে ‘বলো না তুমি আমার’ সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তাকে দেখা গেছে ‘একবার বলো ভালোবাসি’, ‘নদীজন’, ‘গেইম রিটার্নস’, ‘গহীনের গান’ ইত্যাদি সিনেমায়। ২০১৫ সালের ‘নদীজন’ সিনেমায় অভিনয় করে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছিলেন।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন