হোসেনপুরে আগের মত নেই ঔষধি গাছ আকন্দ

হোসেনপুরে আগের মত নেই ঔষধি গাছ আকন্দ
মাহফুজ রাজা, জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ ;
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য প্রজাতির তরু-লতা যা জীবন রক্ষাকারী ঔষধি গুন সম্পন্ন। হয়তোবা অনেকেরই অজানা।আকন্দ তার মধ্যে একটি।
আকন্দ এক প্রকার গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এই গাছ সাধারণত: ৩-৪ মিটার পর্যন্ত উচুঁ হয়ে থাকে। আকন্দ দুই ধরনের গাছ শ্বেত আকন্দ ও লাল আকন্দ। শ্বেত আকন্দের ফুলের রং সাদা ও লাল আকন্দের ফুলের রং বেগুনি রং এর হয়ে থাকে। গাছের পাতা ছিড়লে কিংবা কাণ্ড ভাঙ্গলে দুধের মত কষ (তরুক্ষীর) বের হয়। ফল সবুজ, অগ্রভাগ দেখতে পাখির ঠোটের মত। বীজ লোম যুক্ত, বীজের বর্ণ ধূসর কিংবা কালচে হয়ে থাকে।
একটা সময় চোখের পাতা খুললেই উপজেলার
 উন্মুক্ত পতিত জমি, রাস্তার পার্শ্ববর্তী স্থান এবং   গ্রামে কাঁচা রাস্তার পাশে,দেখা মিলতো আকন্দ গাছের।  বিশেষ করে শুকনো স্থানে ভালো জন্মে। আকন্দের বংশবিস্তার হয় আঁশ এবং বাতাসের মাধ্যমে। এর ফুল ফোটে ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে।
কৃত্রিমতার কড়াল গ্রাসে ধীরে ধীরে অচেনা হয়ে যাচ্ছে  এই মূল্যবান গাছ।
আঃ খালেক মোল্লা সম্পাদিত;লোকমান হেকিমের কবিরাজী চিকিৎসা;  পৃষ্ঠা- ১৫৩-৫৪ তে বলা হয়,
এই উদ্ভিদের ব্যবহার্য অংশ হলো ছাল, পাতা, ফুল, মূল ও কষ। বায়ুনাশক, উদ্দীপক, পাচক, পাকস্থলীর ব্যথা নিবারক, বিষনাশক, ফোলা নিবারক। প্লীহা, দাদ, শোথ, অর্শ, ক্রিমি ও শ্বাসকষ্টে উপকারী। ইহার ফুল বহুমূত্ররোগ এর জন্যে বিশেষ উপকারী বলে মনে করা হয়।(বিষেশজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার্য্য)

আপনি আরও পড়তে পারেন