রূপগঞ্জে বিবাহিত ছাত্রলীগ কমিটি, বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

রূপগঞ্জে বিবাহিত ছাত্রলীগ কমিটি, বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য গঠিত কমিটি বিবাহিত ও বয়স্কদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একাংশের নেতারা। পাশাপাশি কমিটিতে পদ পাওয়া ৭ নেতা গণ পদত্যাগের হুমকি দেন। বুধবার উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের আতলাপুর এলাকায় তারা এসব কর্মসূচী পালন করে।

জানা যায়, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ২৯ বছর বয়স পর্যন্ত অধ্যায়নরত ছাত্র কমিটিতে থাকতে পারবেন। ২৯ বছরের বেশী বয়স ও বিবাহিত কোন ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাবেনা। এদিকে গত মঙ্গলবার ভোলাব ইউনিয়নে ১৪ সদস্যর কমিটির ঘোষনা করেন রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ। কিন্ত সদ্য গঠিত ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে ৩৪ বছর বয়সী অছাত্র সনেট হোসেন জুবায়েরকে সভাপতি ও ১ সন্তানের জনক ফাইজুল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক করে ১ বছর মেয়াদী কমিটির অনুমোদন দেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক।

এদিকে নব্য কমিটিতে সঠিক মূল্যায়ন না পাওয়ায় কমিটিতে বিভিন্ন পদে স্থান পাওয়া ৭ জন সদস্যসহ ছাত্রলীগের কর্মীরা এ কমিটি বাতিলের দাবীতে বুধবার সকালে আতলাপুর বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে এ কমিটি থেকে ৭ জন নেতা গণ পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষনা দেন।

মানববন্ধনে নতুন কমিটিতে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে স্থান পাওয়া সালাউদ্দিন গাজী বলেন, আমি ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। আমি সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। কিন্তু উপজেলা সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক দলীয় গঠনতন্ত্র না মেনে নিয়ম বর্হিভুতভাবে বয়স্ক অছাত্র ও মাদকাসক্ত এক ব্যক্তিকে সভাপতি ও বিবাহিত একজনে সাধারন সম্পাদক করে কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। আমরা এ কমিটি মানিনা।

নতুন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান সুমন বলেন, সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিকভাবে এ কমিটি করা হয়েছে। এখানে কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। আমিসহ আরো ৭ জন সদস্য এ কমিটি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ ফরিদ ভূইয়া মাসুম বলেন, ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি সনেট হোসেন জুবায়েরের আইডি কার্ডে ভুলবশত বয়স বেশী এসেছে। বয়স সংশোধনের জন্য সে উপজেলা নির্বাচন অফিসে দরখাস্ত দিয়েছে। আর সাধারন সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম দুইটি বিয়ে করেছে এবং একটি সন্তান আছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। একটি কু-চক্রি মহল তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। এঘটনায় ফাইজুল থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। আর মানববন্ধন করা গণতান্ত্রিক অধিকার, যে কেউ করতে পারেন। আমরা গঠনতন্ত্র মেনেই কমিটি দিয়েছি। তাছাড়া সবাইতো কমিটিতে পদ দেয়া সম্ভব না।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন