হরিনাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রয়ের মহোৎসব

হরিনাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রয়ের মহোৎসব
হরিনাকুন্ডু প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার নারায়নকান্দিতে  ফসলি জমি থেকে দিনের পর দিন বেপরোয়াভাবে
 বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।  স্থানীয় প্রশাসন থেকে দু’ এক দফা অভিযান চালালেও থামানো যায়নি  বালুদস্যুদের। বরং হরিনাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইনের তত্ত্বাবধানে স্হানীয় বালুখোর লাল আলী ও আক্তার মেম্বর আরো বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।  ফসলি জমি নষ্ট করে, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ চলছে হরিনাকুন্ডুর নারায়নকান্দিতে । কৃষি জমিতে এসক্যাভেটর, ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
বালুখেকোরা উপজেলা চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় থাকায় কেউ তাদের এই অপকর্মে বাধা দিতে সাহস পাচ্ছে না। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জমি থেকে গভীরভাবে খনন করে বালু উত্তোলন করায় আশ-
পাশের জমি ভেঙে পড়ছে। কৃষকরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন কখন কার জমি ভেঙে পাশের গর্তে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নারায়নকান্দির ফসলি জমি থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় লাল আলী ও আক্তার মেম্বর । পরে উত্তোলিত বালু ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যে।
উত্তোলিত বালু পাচারের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবৈধ বালু মহালের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, বলছে সুশীল সমাজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে প্রভাবশালী চক্র। ইতোপূর্বে একবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেলিম আহমেদ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নারায়নকান্দিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আবারও নতুন করে ওই বালু উত্তোলনের মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইনের নির্দেশেই সেখানে বালু উত্তোলন হয় বলে জানান বালুখোর লাল আলী। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন এর নির্দেশনায় আমি বালু উত্তোলন করছি। আমার কি ক্ষমতা? নির্মাণাধীন নতিডাঙ্গা- ভেড়াখালী সড়কে বালু সরবরাহের জন্য এখান থেকে বালু তোলার বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিং এ হরিণাকুণ্ডু নেতারা উত্থাপন করেছিলো। তারপর থেকে   উপজেলা চেয়ারম্যান এর কথায় বালু উত্তোলন ও বিক্রয় চালিয়ে যাচ্ছি। লাল আরোও জানায় উপজেলা চেয়ারম্যান বলেছে তোমার রাস্তায় বালি দেওয়ার দরকার বালি দেও, কেউ এসে ঝামেলা করলে আমার কথা বলবা।
এ ব্যাপারে  উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন এর সাঠে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, লালের কথা সত্য নয়। ওরা আমাকে বলেছিলো বালির অভাবে রাস্তা ঘাট নির্মাণ বন্ধের পথে, এলাকায় সমস্যা হচ্ছে। আমি প্রশাসনের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব বলে ওদের জানিয়েছিলাম।
ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নব- নির্বাচিত চেয়ারম্যান মনজুর রাশেদ এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বালু যেই উত্তোলন করুক তাকে ঠেকাতে হবে। মোট কথা জনসাধারণের অসুবিধা করে কোন কাজ করা যাবে না। মোট কথা বুলু উওোলন বন্ধ করে ফসলী জমিকে আবাদের আওতায় আনতে হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেলিম আহমেদ বলেন, নারায়নকান্দিতে অবৈধ বালুর পয়েন্টি ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে আবার অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই।

আপনি আরও পড়তে পারেন