মোঃ আব্দুর রহীম মিঞা ( টাঙ্গাইল) ভূঞাপুর
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা ও লৌহজং নদীর নদীতে মহাষ্টমীর গঙ্গাঁ স্নানে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দেশবাসীর জন্য শান্তি কামনায় প্রার্থনা করেছেন সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ভক্ত ও পূর্ণার্থীরা।
শনিবার (৯ এপ্রিল) সকালে করোনার ভয়াবহতা কাটিয়ে প্রতিবারের মতো এবারো উপজেলার পৌরসভার পাশে লৌহজং নদীর ও গোবিন্দাসীর খানুরবাড়ির ৩০০ বছরের পুরোনো শ্রী শ্রী কালী মন্দিরে যমুনা নদীর পাড়ে গঙ্গাঁ ম্নান উৎসব এবং মেলার আয়োজন করা হয়।
ভূঞাপুরের যমুনা ও লৌহজং নদীতে গঙ্গাঁ ম্নানে হাজারো ভক্ত ও পূর্ণার্থীদের ঢল আর উপচে ভিড় দেখা গেছে। এদিকে, গঙ্গাঁ ম্নানকে কেন্দ্র করে মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় মিষ্টি জাতীয় খাবার, বাশঁ-বেতের তৈজসপত্র, মাটির তৈরি খেলনা, পুতুল, ঘোড়া, গাড়ি, হাড়ি-পাতিল, চিড়া-মুড়ি, দই, বিভিন্ন রং বেরংগের বেলুন, দা-বটিসহ দোকানিরা তাদের নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই গঙ্গাঁ স্নাণে টাঙ্গাইল ও আশপাশের জেলার নানা শ্রেণি বয়সী হাজারো ভক্ত ও পূর্ণার্থীরা যমুনা ও লৌহজং নদীর পাড়ে ম্নান করতে আসে। এ সময় তারা সৃষ্টিকর্তার কাছে বিভিন্ন মানত ও দেশবাসীর জন্য শান্তি কামনায় প্রার্থনা করে পূঁজা অর্চনা করে।
স্নান করতে আসা ভূঞাপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের সাবেক প্রভাষক সুহাষ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘যমুনায় স্নান তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে। এখানে পুর্ণার্থীরা স্নান করছে তাদের মনবাসনা পুরণের জন্য।
গঙ্গাঁ ম্নান করতে আসা সাধন দাস, রঞ্জিত কর্মকার, সুবীরসহ অনেকেই বলেন, নদীর পাড়ে নতুন জলে গঙ্গাঁ ম্নান করেছি ও পূজা দিয়েছি। মহাষ্টমীতে এখানে স্থানীয় লোকজনসহ দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ মেলা দেখতে এসেছেন।
গঙ্গাঁ ম্নান ও মেলার আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ বলেন, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পাপ মোচনের আশায় যমুনা ও লৗহজন নদীতে স্নান করতে এসেছেন। প্রশাসনের সহযোগিতায় স্নান উৎসব সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।গঙ্গাঁ ম্নান ও মেলা ভোর হতে সারাদিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।