মানিকগঞ্জে ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পর্নোগ্রাফি মামলায় আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। 

ধর্ষণ মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও ২ বছরের কারাদণ্ড এবং পর্নোগ্রাফি আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও ২ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের বাড়ি ঘিওর উপজেলার শাকরাইল এলাকায়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২ আগস্ট বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সাইফুল ইসলাম ও একই এলাকার নবীন মিয়া, মিলন মিয়া, মো. সাদ্দাম হোসেন, পলাশ হোসেন ও জসিম মিয়ার সহযোগিতায় অপহরণ করে। এরপর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে।

ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ঘিওর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ঘিওর থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু তালেব তদন্ত শেষে ওই সাতজনের নাম উল্লেখ্য করে ২০১৫ সালের ১৫ মার্চে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি নবীন মিয়া, মিলন মিয়া, মো. সাদ্দাম হোসেন, রবিন মিয়া, পলাশ হোসেন ও জসিম মিয়াকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল জানান, মামলায় ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে, আরও দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জরিমানার টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ২ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার এই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি এ কে এম নুরুল হুদা রুবেল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. নুরুল আমিন রুবেল উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানিয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন