সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি।
নরসিংদী সদর উপজেলার হাজীপুরে সুজিত সূত্রধর (৫৫) নামে এক সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটনায় ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যায়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম।
এর আগে বুধবার রাতেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নিহত সুজিত সূত্রধরের দোকানের বার্নিশ মিস্ত্রী ও সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের বুদিয়ামারা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মো. মাসুম (২৬), একই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে শিমুল মাহমুদ (২২) ও নবীপুর গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২৩)।
পুলিশ সুপার জানান, এক সপ্তাহ আগে সুজিত সূত্রধরের ছেলে সুজন সূত্রধরের সাথে তার দোকানের বার্নিশ মিস্ত্রী মাসুমের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুজন মাসুমকে থাপ্পড় মারে। এই ঘটনাটি মিমাংসা করার জন্য বুধবার রাতে সুজিত সূত্রধর ও তার ছেলে সুজন সূত্রধর দোকানে অবস্থান করছিল। এসময় বার্নিশ মিস্ত্রী মাসুমের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল দোকানে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুজিত সূত্রধরের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে। এসময় বাঁচাতে এলে সুজন সূত্রধর ও কর্মচারী দীনাকে মারপিট করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজিত সূত্রধরকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর রাতেই ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায় সুজিত সূত্রধরের সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর জায়গা, নির্বাচন সংক্রান্ত ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্বে থেকে আনেকের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। এই ঘটনার জের ধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে ঘটে থাকতে পারে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে নরসিংদী শহরতলীর হাজীপুরের কাঠ বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সাবেক ইউপি সদস্য ও কাঠ ব্যবসায়ী সুজিত সূত্রধরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় আহত হন তার ছেলে সুজন সূত্রধর (২৭) ও ঘটনাস্থলে থাকা দ্বীন ইসলাম দীনা (৫৫) নামের দুজন। নিহত সুজিত সূত্রধর হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।