নির্বাচনকালীন ‘তদারকি সরকার’ চায় সিপিবি

নির্বাচনকালীন ‘তদারকি সরকার’ চায় সিপিবি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনকালীন ‘তদারকি সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। একইসঙ্গে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে ৪টি দাবি জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) পল্টন মুক্তি ভবনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

সিপিবির ৪টি দাবি হচ্ছে, একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনকালীন তদারকি সরকার, নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং নির্বাচন-ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো।

সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স বলেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রার্থীর প্রচারের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের নেওয়া, ‘না’ ভোট, জনপ্রতিনিধি প্রত্যাহারের বিধান, নির্বাচনকে টাকা-পেশি শক্তি, প্রশাসনিক কারসাজি, সাম্প্রদায়িক প্রচার প্রচারণা মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছে সিপিবি।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে নির্বাচনকালীন সরকারের ভূমিকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রিন্স বলেন, এখনকার বাস্তবতায় দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো সম্ভাবনা নেই। এজন্য নির্বাচনকালীন সরকার যেন কোনো প্রকারে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকাও অপরিহার্য।

সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ্ আলম বলেন, আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের এ মতবিনিময় ‘নিছক অন্যদের কথা শোনা ও নিজেদের কথা গেলানোর চেষ্টা’ ছাড়া কিছুই না। তাই এ মতবিনিময়ে অংশগ্রহণের প্রয়োজন আমরা মনে করিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শামসুজ্জামান সেলিম, এ. এন. রাশেদা, শাহীন রহমান প্রমুখ।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন