ভূঞাপুরে সরকারি হাসপাতালের ঔষধ মিলল ডোবায়

ভূঞাপুরে সরকারি হাসপাতালের ঔষধ মিলল ডোবায়

মোঃ আব্দুর রহীম মিঞা, ভূঞাপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গাবসারা  কমিউনিটি ক্লিনিকের সরকারি ঔষধ মিলল একটি ডোবায়।শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ৭ নং ওয়ার্ডের রেহাইগাবসারা এলাকার গাবসারা কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশের একটি ডোবায় বস্তাভর্তী মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এলাকার রোগীদের অভিযোগ, ওই ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসহকারি মো. নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ঔষধ রোগীদের না দিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ করে ফেলে দিচ্ছে। এছাড়াও তিনি নিয়মিত ক্লিনিকে আসে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসির । এমনিতেই দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দূরত্বের কারনে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এসে সেবা নিতে পারে না এসব অঞ্চলের মানুষ।

এবিষয়ে ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসহকারি নুরুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি জানান, “এ বিষয়ে আমি জড়িত নই। ঘটনা শুনে শুক্রবার ক্লিনিকে গিয়েছিলাম। সাথে ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলে স্বাস্থ্য সহকারী  বলেন, “আপনি ভূঞাপুর আসেন সামনা সামনি কথা হবে।” এবিষয়ে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. খোরশেদ আলম জানান, “শুক্রবার ক্লিনিকের পাশে ডোবা থেকে উদ্ধার হওয়া ঔষধ ইউপি চেয়ারম্যান আমার কাছে হেফাজতে রেখেছেন।”

গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহআলম আকন্দ শাপলা জানান, “এমনিতেই চরাঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। শুক্রবার এলাকার লোকজন সরকারি মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ ক্লিনিকের পাশে ডোবায় পড়ে থাকতে দেখে আমাকে খবর দেয়। পরে আমি গিয়ে ঔষধ উদ্ধার করে মেম্বারের কাছে হেফাজতে রেখেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেছি তদন্ত করে দেখার জন্য।” চেয়ারম্যান আরো বলেন, “আমি ঔষধ গুলোর ডেট দেখেছি গেল বছরমেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, অর্থাৎ সেগুলো প্রায় দুই বছর আগের ঔষধ। অথচ আমার চরাঞ্চলের মানুষ ঔষধ পায় না।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো: আব্দুস সোবহান  বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

 

আপনি আরও পড়তে পারেন