নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীতে মাছ ধরা বাউত উৎসব

নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীতে মাছ ধরা বাউত উৎসব

মেহেদী হাসান সাকিব, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) সংবাদদাতা: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীতে গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরা বাউত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকা থেকে ভোগাই নদীতে দলবেঁধে বাউত উৎসবে নামেন সৌখিন মৎস শিকারীরা।

জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম শেষে অক্টোবর নভেম্বর মাস এলে খাল বিল নদনদীর পানি কমে যায়। এসময় সৌখিন গ্রামবাসীরা মিলে পলো, ঝাঁকিজাল ও ছিপজাল নিয়ে দলবেঁধে জলাশয়ে মাছ ধরতে বাউত উৎসবে মেতে উঠেন। উপজেলার পাঁচগাও, রাজানগর, দোহালিয়া, সন্নাসীভিটা ও কোন্নগর গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক মৎস্য শিকারী নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকার ভোগাই নদীর চারআলী ব্রীজপাড় থেকে বাউত উৎসবে নামেন। পরে প্রায় ৬ কিলোমিটার নদীতে দিনব্যাপী মাছ শিকার করেন। শিকারীরা জানান তারা আগে থেকেই নির্ধারন করেন কবে তারা বাউত উৎসব করবেন।

উৎসবে অংশগ্রহনকারী উপজেলার পাঁচগাও গ্রামের আহাম্মদ আলী তিনি ৮ কেজি ওজনের একটি আইড় মাছ শিকার করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা ৪/৫ গ্রামের শিকারী মিলে নিজেদের তৈরি পলো ও জাল নিয়ে জেলার ভোগাই নদী, চেল্লাখালী নদী, মহারশি নদী, মালিঝিকান্দা নদী ও ধলী বিলে আশ্বিন কার্তিক মাসে দলবেঁধে বাউত উৎসবে অংশগ্রহন করেন। এতে কেউ মাছ শিকার না করতে পারলেও বেশ আনন্দ উপভোগ করেন।

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য বাউত উৎসবে দলবেঁধে মাছ শিকার করার কোন আইন নেই। এ জাতীয় কোন উৎসব করতে হলে প্রশাসনের পুর্ব অনুমতি নিতে হবে। তাছাড়া এভাবে মাছ শিকার করলে দেশীয় জাতের মাছের বংশবিস্তার ও প্রজননে সমস্যা হতে পারে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন