বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল বলছেন যে সব ক্ষেত্রে পরীক্ষার ফলাফলের উপরে ভিত্তি করে কারও যৌন অসুখ আছে কি না সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়
সঙ্গী/সঙ্গিনীর যৌন স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় কী ভাবে?
অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তরে বলবেন যে তার জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট পরীক্ষা পদ্ধতি। সেই সব পরীক্ষার ফলাফলই জানিয়ে দেয় যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোনও রকমের যৌন অসুখে আক্রান্ত হয়েছেন কি না!
ঠিক এই জায়গায় এসে বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল বলছেন যে সব ক্ষেত্রে পরীক্ষার ফলাফলের উপরে ভিত্তি করে কারও যৌন অসুখ আছে কি না সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় না। কেন, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন এক পাঠিকার উদাহরণ!
এই পাঠিকা চিঠি মারফত জানিয়েছেন যে মাস ছয়েক হল এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছে, তাঁদের মধ্যে যৌন সম্পর্কও আছে। বর্তমানে ওই ব্যক্তি কন্ডোম ছাড়া সঙ্গমে প্রবৃত্ত হওয়ার জন্য ওই মহিলাকে অনুরোধ করছেন। তিনি নিজের যৌন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন। সব দিক থেকেই রিপোর্ট তাঁকে সুস্থ বলে দাবি করছে।
পল্লবী বলছেন যে অধিকংশ ক্ষেত্রেই নানা ধরনের যৌন অসুখ উপসর্গবিহীন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে পরীক্ষার ফলাফলে কিছুই ধরা পড়ে না। কাজেই যতক্ষণ পর্যন্ত যৌনাঙ্গের চারপাশে ফোঁড়া বা এই জাতীয় কোনও স্পষ্ট কোনও লক্ষণ চোখে না পড়ছে, নিশ্চিত হওয়ার উপায় থাকে না। অর্থাৎ এই জাতীয় শারীরিক লক্ষণ নেই মানেই যে জনৈক ব্যক্তি যৌন স্বাস্থ্যের দিক থেকে সুস্থ, তা জোর দিয়ে বলা যাবে না।
এই প্রসঙ্গে পল্লবী আরও একটি তথ্য তুলে ধরেছেন পাঠক, পাঠিকাদের জন্য। তিনি জানিয়েছেন যে মহিলাদের ক্ষেত্রে HPV-র মতো যৌন অসুখ খুব সহজেই পরীক্ষা দ্বারা সনাক্ত করা যায়। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে রুটিন টেস্টে তা ধরা পড়ে না। অতএব, যতক্ষণ পর্যন্ত না পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌন অসুখের উপসর্গ স্পষ্ট ভাবে চোখে পড়ছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় না।
তাহলে কি বলতে হয় যে পরীক্ষা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যাওয়া একজন পুরুষের ক্ষেত্রে বৃথা?
পরীক্ষার যে প্রয়োজনীয়তা আছে, সেটা স্বীকার করে নিতে ভোলেননি পল্লবী। তবে একই সঙ্গে তিনি এটাও জানাতে ভোলেননি যে এক্ষেত্রে কারও সঙ্গে অসুরক্ষিত সঙ্গমের অন্তত ৩ থেকে ৬ মাস পরে পরীক্ষা করানো উচিত, একমাত্র তখনই পরীক্ষার ফলাফল ঠিকঠাক আসবে।
তবে যৌন অসুখে সংক্রমিত হওয়ার পাশাপাশি মহিলাদের ক্ষেত্রে অসুরক্ষিত সঙ্গমে অবাঞ্ছিত গর্ভধারণের কথাটিও মাথায় রাখতে বলছেন পল্লবী। তাই সব দিক বিচার করে শেষ পর্যন্ত তাঁর পরামর্শ একটাই- অসুরক্ষিত যৌনতায়, বিশেষ করে কন্ডোম ছাড়া সঙ্গমে প্রবৃত্ত হওয়া কখনই কাম্য নয়!