চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যেন অপরাধ ও অনিয়মের রাজ্যে রাজপ্রাসাদ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল যেন অপরাধ ও অনিয়মের রাজ্যে রাজপ্রাসাদ

“কসাই জবাই করে প্রকাস্য দিবালোকে,
তোমার আছে ক্লিনিক আর চেম্বার।।।
সরকারী হাসপাতালের পরিবেশ,
আসলে তো তোমরাই করেছো শেষ।।।

মুবিন বিন সোলাইমান, চট্টগ্রাম:
নচিকেতার গানের কথার মত সরকারি হাসপাতাল এখন কসাইখানার মতোই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা পাওয়া যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালের প্রত্যেকটা সেক্টরে চলছে রমরামা চিকিৎসা বাণিজ্য, টাকা দিলেই মিলে যাবতীয় সহযোগিতা, চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ। দেশের সব সরকারি হাসপাতাল বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও সরকারি হাসপাতালে প্রাইভেট হাসপাতালের মতই টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের ব্যাপক উন্নয়ন আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।  সারাদেশে বিস্তারলাভ করেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা। সারাদেশের ১৩টি হাসপাতালে রয়েছে, জেলা পর্যায়ে এসব সরকারি হাসপাতালের বিনা পয়সায় মেডিসিন, সার্জারি, গাইনী ও প্রসূতিসেবা এবং অর্থোপেডিক, চোখ, নাক-কান-গলা, হৃদরোগসেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য রোগের জন্য ১৪টি হাসপাতালে রয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে সারাদেশে রয়েছে প্রায় ১৪  হাজার ৫৮৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ১ হাজার ২৭৫টি ইউনিয়ন সাব সেন্টার এবং রয়েছে ৮৭টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, নামমাত্র খরচে চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায় সরকারি হাসপাতালে। অপারেশন, সিসিইউ, আইসিসিইউ ও ডায়ালাইসিস সেবার ক্ষেত্রে কোন টাকা নেওয়া হয় না। তবে বেশ কিছু পরীক্ষা করাতে স্বল্প ফি নেয়া হয়। এক্ষেত্রেও সরকারি ফি বেসরকারি হাসপাতালের ফি’র তুলনায় অনেক গুণ কম। সরকারি হাসপাতালে করোনারী এনজিওগ্রামে ২ হাজার টাকা, সিটি স্ক্যানে ২ হাজার টাকা, এমআরআই ৩ হাজার টাকা, ইসিজি ৮০ টাকা, ইকোকার্ডিওগ্রাম ২০০ টাকা, এক্সরে ২০০ টাকা, আল্ট্রাসনোগ্রাম ৩০০ টাকা, কার্ডিয়াক ক্যাথ ২ হাজার টাকা, ইউরিন ৩০ টাকা এবং রক্তের হিমোগোরুবিন, টোটাল কাউন্ট করাতে লাগে মাত্র ১০০ টাকা।

এছাড়া হাসপাতালে সব ধরনের ওষুধ সরবরাহ রয়েছে, যা বিনামূল্যে দেয়া হয়ে থাকলেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালগুলো চিত্রটি উল্টো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রসূতি রোগের স্বামী এই প্রতিবেদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনিয়মের অনেকটা রূপ রেখার নমুনা জানিয়ে বলেন, “গত ২৭ শে অক্টোবর আমার স্ত্রীর প্রসবের ব্যথা উঠলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে যায়। ১০ টাকায় টিকিট নিয়ে এগুতে শুরু হয় অনিয়ম, একজন আয়া ব্যরিকেট দিয়ে জোর করে হুইলচেয়ার বসায়, লিফটে চা খাওয়ায় জন্য ৫০ টাকা দিতে হয়। ৩৩ নং ওয়ার্ডে আসার পর হুইলচেয়ার ওয়ালা আয়ার  ২০০ টাকা দাবি, দিতে না চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ধাক্কাধাক্কির পরে ২০০ টাকা দিতে হয়েছে। এডমিশন পেপার ফিলাপ করতে আবার সেই ইমার্জেন্সীতে আসতে হয় পায়ে হেঁটে স্ত্রীকে একা রেখে।

এখানে শেষ নয়, কর্তব্যরতর চিকিৎসক রোগী দেখে ইপিক ড্রাগনস্টিক সেন্টারের পেড দিয়ে বলে এই ওষুধ গুলো নিচে থেকে নিয়ে আসুন ওষুধ নিয়ে আসার পর পুনরায় বলেন আলট্রাসনোগ্রাফি করতে হবে, এখন রাত ২:১৫ আজ করতে পারবেন না কাল সকালে পরীক্ষা করে রোগী নিয়ে আসেন। বাড়ীতে যাওয়া দুঃসাধ্য বিধায় চমেকের স্টাফ পরিচয়ে বিপ্লব কুমার নাথ বলেন ৩০০ টাকা দিলে সকাল পর্যন্ত রেস্ট করার ব্যবস্থা করে দেবে।

ভোর ৪:৫৫ মিনিট আমার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ হলে ডাক্তারের কাছে ছুটে যায়, ডাক্তার বলেন আলট্রাসনোগ্রাফি না করলে এডমিট করা যাবে না। অনেক রিকুয়েস্ট করার পর তিনি রাজি হননি, কিন্তু ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বয় মোঃ রাজুকে ১হাজার টাকা দিলে আলট্রাসনোগ্রাফি ও ব্লাড গ্রুপ ছাড়াই সব ম্যানেজ করব। তার মানে বুঝতে বাকি রইল না, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টাকা দিলে সবই হয়। অপারেশন থিয়েটারে দেখতে পেলাম একটা বেডে দুইটা করে রোগী। স্ত্রীকে অপরেশন রুমে নিয়ে যাওয়া পর ওষুধের প্রেসক্রিপশন দিয়ে বলল এই ওষুধগুলো নিচ থেকে নিয়ে আসুন, সাড়ে তিন হাজার টাকার ওষুধ নিয়ে নার্সকে দিয়েছিলাম। স্ত্রীর নরমাল ডেলিভারি হয়েছে পরে স্ত্রীর কাছ থেকে জানতে পারলাম আয়া ফাতেমা বেগম ডাক্তারকে শুধু একটি ইনজেকশন দিয়েছেন, বাকিগুলো তার হেফাজতে রেখেছে।

এরপর শুরু হয় টাকার জন্য আমার ওপর অমানুষিক অত্যাচার পরিচ্ছন্নতা কর্মী রুমানা আক্তার, আয়া ফাতেমা বেগম, রোজিনা আক্তার, নার্স স্বপ্না, মোঃ রাজু, বিপ্লব কুমার নাথ ও রতন কুমার নাথদের চাঁদাবাজি করার অবস্থা দেখে হতবাক, আমার সন্তান নরমাল ডেলিভারি হওয়াতে তাদের প্রতিজনকে আনন্দিত হয়ে ২-৩ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে। আমি দিতে অসম্মতি জানালে একপর্যায়ে গিয়ে স্বপ্নাসহ সবাই একসাথে আমার উপর চওড়া হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। শেষে আমার স্ত্রী ও সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। এই অবস্থায় কোন উপায় না দেখে পাঁচজনকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে কোন রকম রেহাই পায়।

এমনই একজন নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী বলেন, গত ২৬ অক্টোবর স্ত্রীকে সিজার করে বাচ্চা প্রসবের উদ্দেশ্যে ভর্তি করালে তার সাথেও এমন ভয়ানক, চাঁদাবাজি, গালিগালাজ ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ও ঘটেছে।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক অন্য এক ভুক্তভোগী রোগীর বাবা বলেন, চার মাস বয়সী বাচ্চার নিউমোনিয়ার হয়েছে, ভালো চিকিৎসার আশায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে সবার মত আমিও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা, ওয়ার্ড বয় ও আয়ার হাতে লাঞ্ছিত নির্যাতিত হয়েছি। তত মধ্যে উল্লেখযোগ্য, প্রথম যেদিন ভর্তি করিয়েছিলাম সেদিন আমার বাচ্চাকে দেড়শ টাকা ক্যানেল কিনে দিয়েছিলাম বাচ্চার মাথায় পুশ করতে গিয়ে নষ্ট করে একে একে চারটি ক্যানেল, পরবর্তীতে অভিজ্ঞ একজন নার্স এসে তা সঠিকভাবে পুশ করেন। পরে নিউমোনিয়া রোগীকে ( ইনজেকশনের নাম এই মুহূর্তে মনে করতে পারছি না) একটা ইনজেকশন গ্যাসের মধ্যে দিতে হয়, সেটি ১৭ টাকা মূল্য থাকলেও  হাসপাতালে কোথাও পাওয়া যায় না, হাসপাতালের বাহিরে ৩০০ টাকায় কিনতে পাওয়া যায় কিন্তু ওয়ার্ড বয়ের কাছে ১০০ টাকায় পাওয়া যায়।

তিনি আরো জানান, দীর্ঘ ২২ দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত বাচ্চার হাজারো পরীক্ষা করাতে হয়েছে হাসপাতালের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে। আনুমানিক ১ লক্ষ টাকার উপরে খরচ করার পরেও দীর্ঘ ২২ দিনের পর আমার বাচ্চা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

স্বনামধন্য চট্টগ্রামের দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক চমেক হাসপাতালের হেড অফ দা ডিপার্টমেন্ট অফ প্রিন্সিপাল ডাক্তার সাহেনা আক্তার’ এর হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার রোগীর সিজার অপারেশনের জন্য প্রথমে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ২ হাজার টাকার ওষুধ ক্রয় করি, এবং সিজার করানোর কথা ছিল বিকেল বেলায়, কিন্তু সেই সিজার বিলম্ব করে করেছে রাত্রিতে। রাত্রে সিজারের পূর্বে আরো কয়েকটা ঔষধের প্রেসক্রিপশন দিলে ৮ হাজার টাকার ঔষধ ক্রয় করতে বাধ্য করে, ৩৩ নং ওয়ার্ডের আয়া ওয়ার্ড বয় ও দালাল চক্র। খোঁজ নিয়ে উক্ত কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সন্ধান পায় এবং তাদের সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে ও পারি তাদের মধ্যে মোঃ রাজু, রুমানা আক্তার, স্বপ্না, বিপ্লব কুমার নাথ, রতন কুমার নাথ ও ফাতেমা বেগম এই ব্যক্তিরা বহুমুখী অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত দীর্ঘদিন যাবত এবং এদের কর্মকাণ্ডে অনেকটা সিন্ডিকেটের মত এদেরকে দ্রুত অপসারণ না করলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩৩ নং ওয়ার্ড কখনো দুর্নীতিমুক্ত হবে না। এরপরেও কোন এক অজানা কালো ছায়ার কারণে এসব অনিয়ম দুর্নীতি থেকে যাচ্ছে বছরের পর বছর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বলেন, কয়জন অসাধু কর্মকর্তার কারণে চিকিৎসা সেবার মত মহান সেবাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ৩২নং ওয়ার্ডে সরকারী ফাতেমা বেগমের ২০ হাজার টাকা বেতনভুক্ত কর্মচারী কোটি টাকার মূল্যে তিন তলা বাড়ি করেছে। তার সাথে যোগসূত্র হয়ে সহযোগিতায় আছেন ইনচার্জ শিখা ভট্টাচার্য তিনিও মাত্র পাঁচ বছর চাকরি জীবনে বাড়ি করেছেন কোটি টাকার। যদিও বা ইনচার্জ থাকার নিয়ম দুই বছর, তারা বহাল তবিয়তে আছেন বছরের পর বছর। এদের অন্যতম সহকারি ওয়ার্ড মাস্টার রাজিব ও আয়া ফাতেমা। রোগীদের কাছ থেকে বিনা টাকার চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও চাঁদাবাজি করেন হাসপাতালের কিছু সংখ্যক অসাধু চক্র। এতে বিনা টাকার সরকারি চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, যা সরকারি ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। রোগী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়, ঘটে যায় অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

এই অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেড অফ দা ডিপার্টমেন্ট অফ প্রিন্সিপাল ডাক্তার সাহেনা আক্তার মুঠোফোনে অনিয়মের কথা স্বীকার করে জানান, হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়, আয়া, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মকর্তার আলাদা একটা কন্ট্রোলিং বডি আছে, এরা আমাদের কোন এমপ্লয়ি না, এদের ব্যাপারে আমি কোন স্টেপ নিতে পারবো না। পরে এদের কন্ট্রোলিং পয়েন্টের রেসপন্সিবিলিটি পার্সনের ঠিকানা বা নাম্বার জানতে চাইলে তিনি কোন সত্তর না দিয়ে পরে ফোন দিবেন বলে জানান।

অন্যদিকে এই অনিয়মের ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান মুঠোফোনে জানান, চমেক হাসপাতালে ৩৩ নং ওয়ার্ড সবচাইতে করাপ্টেড। এই ওয়ার্ড থেকে অনেক অভিযোগ ইতোমধ্যে আমাদের কানে এসেছে, আমরা  এই ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি বেশ কয়েকজনকে অ্যারেস্টও করা হয়েছে। তিনি সমস্ত অভিযোগ ও অনিয়ম স্বীকার করে বলেন, আপনারা বা রোগীর পক্ষে কেউ আমাকে অভিযোগ দিলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারীরা বেতন দেওয়ার পরও যদি এভাবে চাঁদাবাজি  করলে তারা খুব শীঘ্রই আইনের আওতায় আনতে হবে এবং অভিযুক্ত বিপ্লব কুমার নাথ, মোঃ রাজু, রতন কুমার নাথ, স্বপ্না,রোজিনা আক্তার, রুমানা আক্তার, ফাতেমা বেগম এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সত্যতা প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরে এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম আশেক’কে এ ব্যাপারে চমেক হাসপাতালের পরিচালক শামীম আহসান অবহিত করেন পরে তিনি এই প্রতিবাদেরকে ফোন করে পুলিশ বক্সে দেখা করতে বলেন, প্রতিবাদকের কাছ থেকে সবকিছু জানার পর এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানালেও এখনো পর্যন্ত অনিয়মকারীরা বহাল তবিয়তে আছে।

এদিকে চট্টগ্রাম কলেজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনেক ওয়ার্ডের সামনে যত্রতত্রে ময়লা আবর্জনার স্তপ দেখা মিলেছে, পরিচ্ছন্নতা কর্মী থাকলেও তারা বিভিন্ন চাঁদাবাজিতে মগ্ন থাকে যার কারণে চমেক হাসপাতালের পরিবেশ কোন সুস্থ মানুষের অনুকূলে থাকে না।

দৈনিক আজকালের সংবাদ পত্রিকার চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান মুবিন বিন সোলাইমান বলেন, চমেক হাসপাতালের ফার্মেসিতে একজন রোগীর অল্প কিছু অব্যবহারিত ওষুধ ফেরত দিতে চাইলে ফার্মেসির ম্যানেজার বলেন বিক্রিত ঔষধ ফেরত নেওয়ার কোন আইন নেই, সরকার আইন করেছেন ফেরত না নেওয়ার জন্য এমন উদ্ভট প্রশ্নের জবাবে, যে আইনটি সরকার করেছে সেটি দেখতে বললে ক্ষেপে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পঙ্গু করার হুমকিও দিয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন