কথা বলতে রাজি হলেন না পাপন

কথা বলতে রাজি হলেন না পাপন

বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখন যেন ভিডিও বার্তার যুগ। তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান থেকে শুরু করে মাশরাফি বিন মর্তুজা কিংবা খালেদ মাসুদ পাইলট, সকলেই দেশের ক্রিকেটের বর্তমান টানাপোড়েনের ইস্যুতে কথা বলছেন, ইন্টারভিউ কিংবা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। যা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।

এর মধ্যেই আজ গণমাধ্যমকর্মীদের চোখ ছিল বিজয় সরণীর সামরিক জাদুঘরের দিকে। বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির একটি সম্মামনাপ্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে এদিন এসেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সবার ধারণা ছিল, সাকিব-তামিম ইস্যুতে কথা বলবেন বোর্ড প্রধান। তবে তেমন কিছুই হয়নি। সবসময় যার মুখে খৈ ফুটে, আজ যেন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তিনি। গণমাধ্যমের ক্যামেরা আর বুম উপেক্ষা করেই গাড়িতে চড়ে জাদুঘর ত্যাগ করেন পাপন।

তামিমকে বিশ্বকাপ দল থেকে ‘বাদ’দেওয়ার পেছনে বোর্ডপ্রধান, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহের ভূমিকা রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। তামিমও নিজের ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন, বিশ্বকাপে খেলার জন্য বোর্ডের শীর্ষ এক কর্তা তাকে ফোন করে অদ্ভুত দুটি প্রস্তাব দেন, যেটি তিনি মানতে পারেননি। তামিমকে ফোন করা শীর্ষ সেই কর্তার নামও ইতোমধ্যে জানা গেছে; তিনি আর কেউ নন স্বয়ং বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তামিমকে আজব প্রস্তাব দেওয়া, তার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় নিয়ে ঝড় বইয়ে গেলেও যেন তার আঁচ লাগেনি পাপনের গায়ে। দেশের ক্রিকেটে এতকিছু ঘটে যাওয়ার পরও তিনি মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন!

তামিম ইস্যুতে বিসিবি একটা ব্যাখ্যা দেবে বলে অপেক্ষায় আছেন অনেকে। যদিও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলছে না দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। প্রশ্ন উঠেছে কেন এখনো নিশ্চুপ বিসিবি? বোর্ডের একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ‘বোর্ডের চিন্তা এখন শুধুই বিশ্বকাপ ঘিরে, আপাতত মিডিয়ায় কোনো কথা বলবেন না কেউ। যদি কিছু বলেন সেটা বোর্ড সভাপতিই বলবেন। ’

এর আগে আলোচিত সাক্ষাৎকারে তামিম ও অন্যান্য বিষয় ছাড়াও পাপনকে নিয়েও মন্তব্য করেছেন সাকিব। যেখানে টাইগার অলরাউন্ডারের সহজ উত্তর, বোর্ড সভাপতি হিসেবে পাপনের সবচেয়ে খারাপ দিক ইন্টারভিউ দেওয়া।

অন্য বোর্ড প্রধানদের থেকে পাপন অনেক বেশি জড়িত বলে মনে করেন সাকিব, ‘আমি যাদের বোর্ড সভাপতি হিসেবে পেয়েছি, বেশির ভাগ সময়ই এমন ছিল। কামাল ভাইও দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। হয়তো তখন এত মিডিয়া ছিল না, উনি হয়তো মিডিয়াতে অত কথা বলেন নাই। যে কারণে জানা যেত না। কিন্তু দলে কী হচ্ছে, এসবে উনিও জড়িত ছিলেন। আর পাপন ভাই যেটাকে বলে ইন হ্যান্ডস জড়িত। অনেক বেশি যুক্ত। এমন বোর্ড প্রেসিডেন্ট পাওয়াও কঠিন।’

আপনি আরও পড়তে পারেন