বহু আলোচনা আর সমালোচনার জন্ম দিয়ে নিজের ৮ম ব্যলন ডি’ অর জয় করেছিলেন লিওনেল মেসি। প্যারিসের জমকালো মঞ্চে তার হাতে পুরস্কার দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তার এই অর্জন নিয়ে। বিশেষ করে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জেতা আর্লিং হালান্ডকে পাশ কাটিয়ে মেসির হাতে ফুটবলের এমন অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। যদিও উয়েফা বর্ষসেরার বিচারে ঠিকই হালান্ড মেসিকে হারিয়েছিলেন।
বছরের একেবারে শেষদিকে মেসিকে আরও একবার পেছনে ফেলেছেন হালান্ড। আর্জেন্টিনার মহাতারকাকে টপকে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্ট্রি অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস (আইএফএফএইচএস) এর সেরা ফুটবলার হয়েছেন আর্লিং হালান্ড। ২০২২ সালে তিন ক্যাটাগরিতে আইএফএফএইচএস পুরস্কার পেলেও এবারে মেসিকে পাওয়া যায়নি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে।
অবশ্য সেরা প্লেমেকার হিসেবে মেসির সামনে সুযোগ ছিল আইএফএফএইচএস এর পুরস্কার জয়ের। তবে সেটিও হাতছাড়া হয়েছে তার। ম্যানচেস্টার সিটিকে ট্রেবল জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় কেভিন ডি ব্রুইনার হাতে উঠেছে এবারের বর্ষসেরা প্লেমেকারের পুরস্কার। ১৮১ পয়েন্ট পেয়ে সেরা হয়েছেন বেলজিয়ান এই তারকা। মেসি পেয়েছেন ১০০ পয়েন্ট।
আবার মেসি বঞ্চিত হলেও তার কোচ লিওনেল স্কালোনি জিতেছেন বর্ষসেরা জাতীয় দলের কোচের পুরস্কার। আর্জেন্টাইন এই কোচ সারা বছরে কেবল একটি ম্যাচেই হারের মুখ দেখেছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ১৮৫ পয়েন্ট পান স্কালোনি। পেছনে ফেলেছেন ১১২ পয়েন্ট পাওয়া ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশামকে। মেসিরই সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা পেয়েছেন বর্ষসেরা ক্লাব কোচের পুরস্কার। ম্যানসিটিকে ট্রেবল জেতানোর সুবাদে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, পুরো বছরে সবচেয়ে বেশি গোলের সুবাদে সবচেয়ে বেশি গোলের পুরস্কার পেয়েছেন মেসির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তারকায় ঠাসা সৌদি প্রো লিগে একের পর এক গোল করেছেন এই তারকা। ৩৮ বছরের বুড়ো রোনালদো চলতি বছরে করেছেন ৫৪ গোল। পেছনে ফেলেছেন হ্যারি কেইন আর কিলিয়ান এমবাপের ৫২ গোলের টালিকে।
অবশ্য এমন কীর্তি এবারই প্রথম না রোনালদোর জন্য। এর আগেও এমন কীর্তি গড়েছেন তিনি। হিসাবে ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৫ বার এ তালিকায় সবার ওপরে ছিলেন রোনালদো। ২০১১, ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি গোল করেছিলেন রোনালদো। প্রায় ৭ বছর বিরতি দিয়ে ২০২৩ সালে আবার শীর্ষ গোলদাতা হচ্ছেন সিআরসেভেন।