ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু আর চীন উন্নয়নের বন্ধু: ওবায়দুল কাদের

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু ও উন্নয়নের বন্ধু চীন। উন্নয়নের জন্য যেখানে সুযোগ-সুবিধা পাবো, তা কেন নেব না?

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাত দিনব্যাপী পাহাড়ি ফলমেলার উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে রাজধানীর বেইলি রোডের শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে এ ফলমেলার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মেলা ১২ জুলাই (শুক্রবার) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০ থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত একটানা সাত দিন চলবে। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ফরেন ফলিসি হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। বঙ্গবন্ধুর এই পলিসি শেখ হাসিনা ফলো করেন। ৭১-এর পর থেকে ভারত আমার পরীক্ষিত বন্ধু। ভারতীয় সৈন্যরা তখন আমাদের জন্য রক্ত দিয়েছে। তাদের জনগণ আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। ওই দুঃসময়ের সাহায্য আমরা ভুলে যেতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, ৭৫-এর পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৈরিতা রেখে ২১ বছর অন্যরা কি অর্জন করেছে? আমরা সীমান্ত সমস্যা সমাধান করেছি। ভালো সম্পর্ক আছে বলে, আরেকটা সমুদ্রসীমা ভারতের কাছ থেকে পেয়েছি। সম্পর্ক ভালো বলেই ছিটমহল সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। গঙ্গা পানির চুক্তিও করেছি। সম্পর্ক ভালো থাকলে আলাপ আলোচনা করে সব সমাধান করা যায়। আমরা কখনো খালি হাতে ফিরিনি। আগেও ফিরিনি, এখনো না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বড় বড় কথা বলে, তারা দিল্লি থেকে এসে বলতো, আমরা গঙ্গা চুক্তির কথা ভুলেই গেছি। আমাদের উন্নয়নের জন্য যেখানে সুবিধা পাবো, আমরা সেটা কেন নেবো না? ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখে এখন কারো গায়ে চুলকায়, কারো অন্তরে জ্বালা হচ্ছে।

চীনের সঙ্গে আমাদের পার্টনারশিপ রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সম্পাদক বলেন, ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন আমাদের উন্নয়নের বন্ধু। এ দেশে বহু উন্নয়নে চীনের অবদান আছে। সাহায্য পেলে আমরা সাহায্য কেনো নেব না? আমার দেশের উন্নয়নের জন্য যেখানে সাহায্য দরকার আমরা সেখান থেকে সাহায্য নেব। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে এসব নিয়ে অনেকের জ্বলে, যাদের জ্বলে তাদের মন্তব্যের কোনো জবাব আমরা দেব না।

গত ১৬ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে। সেই বদলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পার্বত্য অঞ্চলও বদলেছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়ক যোগাযোগে এখন পার্বত্য তিন জেলা অনেক উন্নত, একসঙ্গে ৪২টি ব্রিজ উদ্বোধন হয়েছে খাগড়াছড়িতে। এখন সীমান্ত সড়ক তৈরি হচ্ছে। শেখ হাসিনা থাকলে সব সমস্যার সমাধান হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন