সহিংসতার ছবি ও ভিডিও ব্লক না করায় ফেসবুক–টিকটকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা বসার কথা জানিয়েছেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাঈদ আহমেদ পলক। বৃহস্পতিবার নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেইজে এ তথ্য জানান তিনি।
একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব না পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুসিয়ারিও দিয়েছেন পলক।
পলক লিখেছেন, ‘ফেসবুক-টিকটক তাদের নিজেদের পলিসি গাইডলাইনস নিজেরাই মেনে চলেনা। তারা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরণের ভূমিকা নেয়। অথচ আমাদের দেশে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে, পুলিশকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করার ছবি-ভিডিওতে প্রকাশ করে উসকানি ছড়িয়ে দিচ্ছে, যেগুলোকে তারা ব্লক করছে না। এগুলোকে তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে, এমনকি তারা সেই কন্টেন্টের বুস্টিং থেকে আয় করছে, কিন্তু কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।’
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘আগামী ৩ দিনের মধ্যে ফেসবুক-টিকটকসহ সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি সেখানে অংশ নিয়ে সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারে, তবে তাদের প্রতি আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা হয়। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অসংখ্য। আন্দোলনের মধ্যেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু সরকারি স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর হয়। আগুন দেওয়া হয় রামপুরার বিটিভি ভবন, বনানীর সেতুভবন, মেট্রোরেল স্টেশন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বহু স্থাপনায়।
এর মধ্যে গত ১৮ জুলাই রাত ৯টার পর থেকে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগে পুড়ে যায় ৩টি ডেটাসেন্টার, যেগুলোর ওপর নির্ভর করে দেশের ৬০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ। এভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে রাত থেকেই সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইন্টারনেট না থাকায় বিপাকে পড়েছিলেন দেশের ১৪ কোটি ব্যবহারকারী।
ক্রটি সারানোর কাজ শেষ হলে গত ২৩ জুলাই থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ফিরতে শুরু করে। তবে এখনও বন্ধ আছে মোবাইল ইন্টারনেট। একই সঙ্গে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোও বন্ধ।