ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহবধূকে বিবস্ত্র নির্যাতনের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে মাহাবুব ইসলাম গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে।

ঠাকুরগাঁওয়ে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে মাহাবুব ইসলাম গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে পাঁচজনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনের কথা উল্লেখ করে ভুল্লী থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী রুমানা ফেরদৌস।

ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ বদলীবাড়ি গ্রামে। গত শনিবার রাতে মামলাটি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল উদ্দীন।

মামলার আসামীরা হলো- ওই গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মাহাবুব ইসলাম (৫২), মাহাবুব ইসলামের ছেলে তাহসিন (২২), আব্দুস সামাদের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫), মাহাবুব ইসলামের মেয়ে তাসনিম আক্তার (২৫), মাহাবুব ইসলামের স্ত্রী ইসমত আরা (৪৫)।

অভিযোগে জানা গেছে, রোমানা ফেরদৌস (৩৮) বাবার বাড়িতে মেহমান খাইতে আসেন। গত ২৩ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ময়লা ফেলানোর জন্য বাড়ির পাশে বাবার ভোগদখলীয় সুপারি বাগানে গেলে মামলার আসামিরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায় বিবস্ত্র করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি মাথায় কোপাতে থাকে। এতে গুরুতর জখম হয় ওই নারী। এসময় ওই নারীর চিৎকারে তার স্বামী এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করে। এতেও ক্ষান্ত হননি সন্ত্রাসীরা। পরে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে ওই নারীর বৃদ্ধ বাবার উপর হামলা চালায় তাঁরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করার চেষ্টা করলে তাদেরকেও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এসময় পুলিশে খবর দিলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের।

 

 

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ত্রাসী চক্রটি সু-পরিকল্পিত ভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। চক্রটি সরলতার সুযোগ নিয়ে পেশি শক্তি ব্যবহার করে জমি দখলের চেষ্টা করে।

মামলার বাদী রুমানা ফেরদৌস বলেন, সন্ত্রাসী চক্রটি এর আগেও আমাদের উপর হামলা চালিয়েছিল। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ থানায় অভিযোগ করেছিলাম। তারা একের এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। তারা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।

এ ব্যাপারে মামলার আসামিদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কেউ কথা বলতে রাজী হননি।

এবিষয়ে ভুল্লী থানার ওসি মো. দুলাল উদ্দীন বলেন, বাদী পক্ষ অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে দ্রুতই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন