মোটা অংকের মুক্তিপণের পরিকল্পনায় প্রতীককে অপহরণ করেছিল চক্রটি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে থানা পুলিশের কাছে এমন তথ্যই দিয়েছে গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা।
বৃহষ্পতিবার বেলা ১২টায় নবাবগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান থানার ওসি মমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় বুধবার রাত ১১টায় নবাবগঞ্জ থানায় অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
স্কুলছাত্র প্রতীক সরকার উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের ঘোষপাড়া গ্রামের সঞ্জয় সরকার ও লতা সরকারের ছেলে। প্রতীক বান্দুরা হলিক্রস উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র।
সূত্র জানায়, বুধবার সকালে প্রতীক বাড়ি থেকে স্কুলে যাবার পথে অপহরণ করে চক্রটি। প্রায় এক ঘণ্টা পর দোহারের সাইনপুকুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনের রাস্তায় চেকপোস্টে মাইক্রোবাস থামিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় স্কুলছাত্র প্রতীককে উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশ ৫ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে নবাবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শরিয়তপুরের নড়িয়ার পারভেজ আহমেদ (৪০), শরিয়তপুরের জাজিরার মোক্তার হোসেন আকাশ (৩৯), মুন্সিগঞ্জের লৌজংয়ের আতিক হাওলাদার ওরফে আরিফ (৪৪), জুরাইন পশ্চিম ধোলাইপাড়ের জুম্মন খান (৪১) ও গাড়ী চালক চাঁদপুরের কচুয়ার মো. মিজান (৫৩)।
সংবাদ সম্মেলনে ওসি মমিনুল ইসলাম আরও জানান, অপহৃত প্রতীকের বাবা সঞ্জয় সরকার স্থানীয় একটি এনজিও পরিচালনা করেন। তিনি ‘প্রাপ্তি কোÑঅপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডে’র সাধারণ সম্পাদক। ছেলেকে অপহরণ করে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করাই এ চক্রের টার্গেট ছিলো। পারভেজ আহমেদই এর মূল পরিকল্পনাকারী।
সংবাদ সম্মেলনে নবাবগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আজগর হোসেনসহ থানার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অপহৃত স্কুলছাত্র প্রতীকের মা লতা সরকার বলেন, পরমকরুনাময় আমার ছেলেকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাঁর কাছে প্রার্থনা করি। পুলিশ সক্রিয় না থাকলে ওরা আমার সন্তানকে মেরে ফেলতো।