গোপালগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টা ঘটনার সালিসে হামলা, ভুক্তভোগী নারীসহ আহত ১০

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ধর্ষণচেষ্টার সালিশ বৈঠকে মারধরের ঘটনায় নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। রোববার (৮ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

হামলায় আহতরা হলেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ, তার স্বামী, ওসমান শেখ (২৬), ইয়াদুল শেখ (২২), হাসিবুল শেখ (২৮), আলী শেখ (১৮) ও হাকিম আলী শেখ (২৫)। তাদের উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। অন্যান্য আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার একটি গ্রামের এক গৃহিনীর ফাঁকা বাড়ির ঘরের বেড়া কেটে একই গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য রিপন মধু ও যুবলীগ নেতা রাজিবুল বিশ্বাস রাজিবুল বিশ্বাস মুখোশ পড়ে ঘরে প্রবেশ করে। ওই গৃহিণীর স্বামী রাতে বাড়িতে না থাকার সুযোগে রিপন ও রাজিবুল গৃহিনীকে ধর্ষণের উদ্দেশে হাত-পা বেঁধে ফেলে। হাত-পা বাঁধার সময় ওই গৃহিনীর সঙ্গে হাতাহাতিতে রিপন মধুর মুখোশ খুলে যায়।

পরে ওই গৃহিণী রিপন ও রাজিবুলকে চিনে ফেললে তারা ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে গতকাল রোববার শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আরও জানা যায়, সালিশ বৈঠকে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস লোকজন নিয়ে ওই গৃহিণী ও তার লোকজনকে মারধর করে। এতে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। মারাত্মক আহত ছয়জনকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস পলাতক বলে জানায় পুলিশ।

ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, আমার স্ত্রীকে ঘরে একা পেয়ে রিপন ও তার সঙ্গী ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য অমল মধু সামাজিকভাবে বিচার করার কথা বলে আমাদের সালিসে ডাকেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে উল্টো আমরা হামলার শিকার হই।

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন