আজ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালে আজকের এই দিনে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে কিছু পথভ্রষ্ট সেনা সদস্য। সেদিন বাঙালি জাতির বুকে কলঙ্কের দাগ এটে দিয়েছিল ওরা। এই দিনটি সমগ্র বাঙালি জাতির শোকের দিন। ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম বাঙালির ৪১ তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ।
এদিকে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে শোক দিবস পালনের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। আজ সরকারি ছুটি। সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
সেই কালো রাতে বঙ্গবন্ধু ছাড়াও ধানমন্ডির বাড়িতে তাঁর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ও তিন ছেলে ও তাদের স্ত্রী সন্তানসহ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং নিকটাত্মীয়সহ মোট ২৬ জনকে হত্যা করে ঘাতকরা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তাঁরা বেঁচে যান।
এদিকে আজ সকাল সাড়ে ছয়টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার দেবে। এ সময় বিশেষ মোনাজাত ও পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে সাতটায় বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ও নিহত অন্যদের কবরে এবং সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এ সময় ফাতিহা পাঠ ও সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদানসহ বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল হবে। সারা দেশে সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।