সাতক্ষীরায় আশ্রয় কেন্দ্রে দেড় লাখ মানুষ, ঝুঁকিতে বেড়িবাঁধ

অন্যান্য জেলার মতো ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব পড়েছে সাতক্ষীরাতেও। বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা ও কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এদিকে জীবন বাঁচাতে সাতক্ষীরা জেলায় ১৬০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ অবস্থান করছে। তবে ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরার বেড়িবাধঁগুলো বেশ ঝুঁকিতে আছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, জেলায় ১৬০টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ অবস্থান করছেন।

প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১১৮টি মেডিকেল টিম। জেলার তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জে সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকার জেলে-বাওয়ালীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

 

তিনি আরও জানান, উপকূলীয় উপজেলা এলাকায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার, শুকনা খাবার মজুদ রাখা, ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণসহ দুর্যোগ মোকাবেবিলায় সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করার কথা জানানো হয়। ইতিমধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিসসহ বিভিন্ন উপজেলায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জেলায় দুর্যোগ মোকাবিলায় ২ হাজার ৭০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১২ লাখ টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃহ নির্মাণে ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা বরাদ্দ আছে বলেও জানানো হয়।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার রহমান রিপন জানান, ফণী দুর্বল হয়ে পড়ায় সাতক্ষীরায় বড় ধরনের আশঙ্কা নেই। তবে জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের অধীনে ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাধের মধ্যে প্রায় ৫০টি স্থানে বেড়িবাধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর কুড়িকাউনিয়া, প্রতাপনগরের চাকলা, সুভদ্রকাটি, কোলা, সদর ইউনিয়নের জেলেখালী, শ্রীউলার হাজরাখালী, শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের খলিসাবুনিয়া, জেলেখালী, লেবুবুনিয়া, চাঁদনীমুখা, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর ও পাতাখালীসহ কয়েকটি স্থানের বেড়িবাঁধ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment