আশুলিয়ায় ধর্মের দোহাই দিয়ে তিনজনকে ধর্ষণ!

দুই বোন ও তাদের ছোট মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশে এক ভণ্ড পীরকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রোববার রাতে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ভণ্ড পীরকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি থেকে ধর্ষিতা মহিলাদেরও উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ পরিদর্শক জাবেদ মাসুদ বলেন, প্রায় ১৫ বছর আগে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রী সমস্যায় পড়ে ওই এলাকার স্বঘোষিত পীরের কাছে। পীরের আস্তানায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল ওই মহিলার। একসময়ে কথিত ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিনিয়ত ওই মহিলাকে ধর্ষণ করতে থাকে। দীর্ঘদিন তাকে ধর্ষণের পর ওই মহিলার ছোট বোনের প্রতি আকৃষ্ট হয় পীর। তাকেও নিজের আস্তানায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুদিন পর ওই দুই বোনের নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্যের জেরে ছোট বোন পীরের আস্তানায় যাওয়া ছেড়ে দেয়া তখন পীরের নজর পড়ে বড় বোনের কিশোরী মেয়ের দিেেক। ১৩ বছরের মেয়েটিকেও লাগাতার ধর্ষণের শিকার হতে হয়।

একটা সময় পর ওই কিশোরী তার খালাকে সব কথা খুলে বলে। আশুলিয়া ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে চায় তারা। তবে বোনঝির কথা শুনে খালা ওই স্বঘোষিত পীরের সমস্ত কুকীর্তির কথা আশুলিয়া থানার পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ রবিবার রাতে তাকে আটক করে। ঘটনার পর অভিযুক্ত পীরের সহকারী মকবুল হোসেন পলাতক।

পীরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষিতা নারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছোট বোন বাদীপক্ষ হয়ে স্বঘোষিত পীর ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তার দাবি, আরও বহু নারী ওই আস্তানায় যেত এবং ভণ্ড পীর তাদেরকেও ধর্ষণ করেছে।

আশুলিয়া থানার ওসি মহম্মাদ রেজাউল হক দীপু জানান, দীর্ঘদিন ধরে পরিবারের বড় বোনকে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে নানা কৌশলে পীর ধর্ষণ করে আসছিল। পরে তার ছোট বোন ও কিশোরী মেয়েকে একই কৌশলে ধর্ষণ করে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment