মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে ভাতিজিকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে চাচাকে আটক করেছে পুলিশ। ১৩ মে সোমবার রাতে মখলিছুরের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে এসআই নুর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। এর আগে একই দিন ভিকটিম ওই ভাতিজি নিজে বাদি হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দুই বছর আগে মখলিছুর রহমান প্রবাস থেকে ফিরে দেশে অবস্থান করছেন। বছর দুইয়েক হলো সে বিয়ে করে এবং তাদের একটি শিশু সন্তান আছে। অভিযুক্ত মখলিছুর ও ভিকটিম একই বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি রুমে বসবাস করতো। দীর্ঘদিন যাবৎ আদর করার অযুহাতে নানা কৌশলে মখলিছুর তার ভাতিজিকে যৌন নিপীড়ন করতো। লোকলজ্জার ভয়ে ভিকটিম বিষয়টি কাউকে জানায় নি। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে মখলিছুর ও তার স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। এমতাবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে ভিকটিম তার নিজ রুমে পড়ালেখা করছিলো। তার বাবা কৃষি কাজে এবং মা ঘরের থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পুকুরের উদ্দেশ্যে বের হোন। এই সুযোগে অভিযুক্ত চাচা মখলিছুর ভিকটিমের রুমে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এমনসময় ভিকটিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন চলে এলে মখলিছুর পালিয়ে যায়। ঘটনার পর লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করা হয়। এক পর্যায়ে ভিকটিম নিজে বাদি হয়ে গত সোমবার থানায় মামলা দায়ের করে।
এবিষয়ে কুলাউড়া থানার এসআই নূর হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে যৌন নিপীড়ন করে আসছিলো। ধর্ষণ চেষ্টায় মামলার পরপরই আসামীকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কোর্টে প্রেরণ করা হবে।
