বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজটি সিনিয়র-জুনিয়রের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে ১০ বছর পর শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে। এই সিরিজে জয়ের পর বাংলাদেশ দলের স্কোয়াড নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী টাইগারদের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস। দলে থাকা তরুণ ক্রিকেটারদের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ কিংবা মুশফিকদের ছায়া থেকে বের হয়ে আসছে বাংলাদেশ দল, বিশ্বাস রোডসের।
ফাইনালে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে ব্যাট হাতে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতরা। এছাড়া পুরা টুর্নামেন্টে সৌম্যর ধারাবাহিক পারফরমেন্স, আবু জায়েদ রাহির অভিষেক ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচে কাম ব্যাক যা শিরোপা জিতার বড় অবদান। তরুণদের এমন পারফর্মেন্স নতুন দিগন্তের আলো দেখাচ্ছে রোডসকে। কোচ বলেন, ‘আপনি যদি মোসাদ্দেককে একটি উদাহরণ হিসেবে দেখেন, সে কিন্তু প্রত্যেককে নতজানু হতে এখন বাধ্য করতে যাচ্ছে। স্কোয়াডের গভীরতা এটাই যে সে হয়তো নাও খেলতে পারে এবং তাই যদি হয় তাহলেও আমরা ভালো অবস্থানে থাকতে পারবো, কেননা আরও ভালো খেলোয়াড়েরা দলে রয়েছে।’
পঞ্চপান্ডবের নির্ভরশীলতা বেরিয়ে আসছে বাংলাদেশ দল। এতেই বাংলাদেশ দল আরও বেশি শক্তিশালী হবে বলে বিশ্বাস করেন এই ইংলিশ ম্যান। তার ভাষ্যমতে, ‘এর মানে এটাই যে বাংলাদেশের দলের স্কোয়াড দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে এবং স্কোয়াডের এই গভীরতাটাই আমরা চাইছি। সেটি যদি আমরা অর্জন করতে পারি তাহলে মানুষ পঞ্চপান্ডবকে নিয়ে কথা বলা থামিয়ে দিবে। এর মানে এদের কেউ না থাকলেও আমরা শক্তিশালী দল।’
বিশ্বকাপে বড় স্কোর তাড়া নিয়ে রোডস বলেন, ‘এটি আমাদেরকে আত্মবিশ্বাসের যোগান দিচ্ছে যে আমরা বড় ম্যাচও জিততে সক্ষম। আমরা সেদিন দারুণভাবে রান তাড়া করেছি। এটি ছিল অনেক কঠিন এবং আমাদের দলে দুই থেকে তিনজন ছেলে ছিল যারা স্পেশাল ইনিংস খেলেছে।’
