১৪ বছরের এক শিশুর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিলেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য!

এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ১৪ বছরের এক শিশু শ্রমিকের কাছ থেকেও ক্ষতিপূরণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শিশুটির নাম মোরশেদ। তার বাড়ি সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের শুনান দিঘি গ্রামে। সে কুড়িগ্রাম আদর্শ পৌর বাজারে রিসাত স্টোর নামে একটি মুদির দোকানে শ্রমিকের কাজ করে।

জানা গেছে, পুলিশের মোটরসাইকেলে ওই শিশুর বাইসাইকেলের ধাক্কা লেগে ইন্ডিকেটর লাইট ও ব্রেক লিভার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় বাইসাইকেল আটকে রখে ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন ওই পুলিশ সদস্য।

শিশু মোরশেদ জানায়, আজ দুপুরে দোকান মালিকের বাড়ি থেকে সাইকেলে করে আদর্শ পৌর বাজারের দোকানে যাচ্ছিলো সে। শাপলা চত্বর এলাকায় তার সাইকেলের চেন পড়ে যায়।

সাইকেলের সামনের চাকাটি সামান্য বাঁকা থাকায় সে সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে করে রাস্তার পাশে থাকা ওই পুলিশ সদস্যের মোটরসাইকেলের ওপর সাইকেল নিয়ে পড়ে যায় সে। এ ঘটনায় মোটর সাইকেলটি উল্টে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মোরশেদ বলে, তার কাছে টাকা নেই এমন কথা ওই পুলিশ সদস্যকে বলার পরও তিনি মানতে চাননি। পরে সে দোকান থেকে ২০০ টাকা নিয়ে তার মোটরসাইকেলের ইন্ডিকেটর লাইট ও ব্রেক লিভার কিনে দেয়। এরপর তিনি সাইকেল ফেরত দেন।

শিশুটি জানায়, মালিকের কাছ থেকে তার মাসিক বেতনের ২০০ টাকা নিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে দিয়েছে সে।

অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল বিকাশ চন্দ্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘মোটরসাইকেলটি আমার ছিল না, তাই ওই শিশুর কাছে ক্ষতিগ্রস্থ পার্টস কিনে নিয়েছি। আমার মোটরসাইকেল হলে নিতাম না।’

শিশুটির কাছে টাকা না নিলে হতো কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ওই পুলিশ সদস্য বলেন, ‘আমি ওর কাছে টাকা নেইনি। ক্ষতিগ্রস্থ পার্টস কিনে নিয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম সদর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) জাহিদ সরওয়ার বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না। আপনার কাছে প্রথম শুনলাম। আমি ওই পুলিশ সদস্যের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।’

আপনি আরও পড়তে পারেন