সাড়ে ২১ হাজার মাদরাসার শিক্ষক পাবেন এমপিও

নতুন বাজেটে শিক্ষকদের জন্য আছে নানা সুখবর। নয় বছর পর বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হচ্ছেন। এ সংখ্যা অন্তত তিন হাজার। নীতিমালায় নেই তবু এমপিও পাবেন আরও ৪৩১২টি ইবতেদায়ি মাদরাসার সাড়ে ২১ হাজার শিক্ষক।

এই শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির জন্য প্রায় তিন যুগ ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। এ ছাড়া বেসরকারি শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতা এবং ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের স্বীকৃতিও মিলেছে প্রস্তাবিত বাজেটে। ইতোপূর্বে তারা এই দুই সুবিধা পেয়েছেন বিশেষ বরাদ্দের আওতায়। এবারের বাজেটে মানসম্মত শিক্ষার ব্যাপারেও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

তবে সার্বিকভাবে এবারের বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় কমেছে। শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ বরাদ্দের পরিমাণ বাজেটের মাত্র ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ। অথচ চলতি অর্থবছরে (২০১৮-১৯) সংশোধিত বাজেটের ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ ব্যয় হয়েছে শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ে।

জানতে চাইলে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য- জাতীয় প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, দক্ষতা উন্নয়ন, বেকারত্ব নিরসন তথা সার্বিক উন্নতির মাধ্যমে দেশকে মধ্যম আয়ে পৌঁছানো।

এটা করতে গিয়ে সরকার এবারের বাজেটে শিক্ষার জন্য বরাদ্দ করেছে। শিক্ষা বলতে শুধু পুঁথিগত শিক্ষা নয়। এ জন্য মানসম্মত ও কারিগরি শিক্ষার প্রতি জোর দেয়া হয়েছে। শুধু শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে না।

এর বাইরে আরও ২৬টি মন্ত্রণালয় কাজ করছে। শুধু দুটি মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকালে বরাদ্দ কমেছে বলে মনে হতে পারে। শিক্ষা নিয়ে কাজ করা সব মন্ত্রণালয়ের বাজেটের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে বরাদ্দ শতাংশের হিসাবে গত বছরের চেয়ে অনেক বেড়েছে।’

৪৩১২ ইবতেদায়ি মাদরাসা : ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি এক সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারের জন্য দেশে বেসরকারি বিদ্যালয় ও ইবতেদায়ি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা শুরু হয়। এর মধ্যে ২৬ হাজার ১৯৩ প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে জাতীয়করণ হয়েছে।

এর আগে এগুলো ধাপে ধাপে জাতীয় বেতন স্কেলের অধীনে আসে। কিন্তু একই সময়ে অভিন্ন আইনের বলে প্রতিষ্ঠা সত্ত্বেও উপেক্ষিত থাকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি (যা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত) মাদরাসা। তারা মাত্র ৫শ’ টাকা করে মাসোহারা পেয়ে আসছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন