ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করলেন মুসলিম অভিনেত্রী নুসরাত

সদ্য আপডেট হওয়া বাংলা উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে কলকাতার মুসলিম অভিনেত্রী নুসরাত জাহান ধর্মান্তরিত হয়ে সাত পাঁকে বাঁধা পড়েছেন নিখিল জৈন নামের এক হিন্দু ধনকুবেরের সঙ্গে।

সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসর বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হওয়ার পর তিনি এ বিয়ে সম্পন্ন করেন।

তার এ বিয়েতে ভারতীয় মিডিয়ায় প্রশংসার বন্যা বইছে। হিন্দুয়ানী প্রথায় বিয়েতে অংশগ্রহণের সময় তার সাজসজ্জারও ভূয়সী প্রশংসা করছে মিডিয়াগুলো।

ভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যম বিয়ের পিঁড়িতে বসা নুসরাতের বর্ণনা দিচ্ছে এভাবে, পরনে লাল লেহেঙ্গা, মাথায় ওড়না, গলায় ভারি সোনার গয়না, মাথায় টিকলি, হাতে চূড়া ও কালিরাস-এ সেজে ওঠা নুসরতকে ঠিক তেমনটাই দেখাচ্ছিল। পায়ে হেঁটেই বিয়ের মঞ্চ অবধি পৌঁছলেন কনে নুসরত। চেয়ারে বসে হাত রাখলেন তাঁর স্বপ্নের রাজকুমারের হাতে। বিয়ের মন্ত্র উচ্চারণের জন্য পুরোহিত মশাই ততক্ষণে তৈরি হয়েই বসে রয়েছেন।

১৯ জুন, বুধবার তুরস্কের বোদরুম শহরে ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হয় নুসরতের। বিয়ের পর ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে নব-দম্পতির প্রথম ছবি।

টলিউডে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং সাধারণত দেখা যায় না। তবে গত বছর থেকে বিরাট-অনুষ্কা, দীপিকা-রণবীরসহ বেশকিছু ডেস্টিনেশন ওয়েডিং দেখেছে বলিউড। আর নুসরত-নিখিলের বিয়েটাও হলো সেই বলিউডি কায়দায় ডেস্টিনেশন ওয়েডিং।

২০১০ সালে ফেয়ার ওয়ান মিস কলকাতা নামক একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হন নুসরাত জাহান। তার সৌন্দর্যের কারণে তিনি মডেলিং-এ সুযোগ পান। এরপর তিনি জিতের বিপরীতে এবং রাজ চক্রবর্তীর পরিচালনায় `শত্রু‘ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পশ্চিম বাংলায় সুপরিচিত হন।

এর প্রায় দুই বছর পর মুক্তি পায় দেবের বিপরীতে এবং রাজিব বিশ্বাস পরিচালিত তার দ্বিতীয় ছবি `খোকা ৪২০‘। এই চলচ্চিত্রটির অত্যধিক জনপ্রিয়তা তাকে সাফল্যের অন্যতম শিখরে নিয়ে যায়। এরপর মুক্তি পায় অঙ্কুশ হাজরার বিপরীতে `খিলাড়ি‘ ছবিটি।

তিনটি ছবিতেই এসকে মুভিজ প্রযোজনা করে।  নুসরাত জাহান একের পর এক ব্লকবাস্টার দর্শকদের উপহার দিয়ে গেছেন। অবশেষে অভিনয়ের পাশাপাশি ভারতীয় লোকসভাতে অংশগ্রহণ করে রাজনীতির মাঠও কাঁপানো শুরু করেছেন ইতোমধ্যে।

আপনি আরও পড়তে পারেন