সরকারি রাস্তায় বাঁশের বেড়া!

মণিরামপুরে গ্রাম্য সালিশ পক্ষে না যাওয়ায় সরকারি রাস্তায় বেড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোর্শেদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রোববার (৩০ জুন) ভোরে উপজেলার রোহিতা শেখপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এরপর থেকে ওই রাস্তা দিয়ে পারাপার হতে পারছেন না কেউ। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রামবাসী। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে খবরের সত্যতা মিলেছে। মোর্শেদ ওই গ্রামের মৃত তাবারক শেখের ছেলে।

স্থানীয় বাবু শেখ জানান, সরকারি রাস্তার ওপর বিভিন্ন সবজির গাছ লাগিয়ে অনেক আগ থেকে নিজের দখলে রেখেছেন মোর্শেদ। শনিবার (২৯ জুন) সকালে তার ভাই রোকন শেখ ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি ঢোকার সময় বাইক উল্টে মোর্শেদের কুমড়া গাছের ওপর পড়ে। মোর্শেদ ও তার পরিবারের লোকজন রোকনকে উদ্ধার করার পরিবর্তে কুমড়া গাছের ক্ষতি করার অপরাধে তাকে ওই অবস্থায় মারপিট করেন। বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতে ইউপি সদস্য মহিতুল শেখসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশে বসে মোর্শেদকে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। সালিশের লোকজন চলে যাওয়ার পর বাড়ির সাথের রাস্তার মাঝখানে বাঁশের বেড়া দেন মোর্শেদ।

ওই গ্রামের রাশেদ শেখ জানান, গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ ইজিবাইক বা ভ্যান চালক। সকাল থেকে কেউ ওই রাস্তা দিয়ে ভ্যান বা বাইক নিয়ে বেরুতে পারছেন না। সালিশদাররা এসে বিষয়টি দেখে গেছেন।

এদিকে মোর্শেদের দাবি, তিনি নিজের জমির দুই ফুট রাস্তার মধ্যে ছেড়ে দিয়ে তারপর বেড়া ঘিরেছেন। বেড়া তার জমিতে, রাস্তায় নয়।

স্থানীয় এমপি প্রতিনিধি মোহর আলী শেখ বলেন, মোর্শেদ যেখানে বেড়া দিয়েছে সেটা সরকারি রাস্তা। বেড়া তুলে নিতে তাকে অনুরোধ করেছি। সে শোনেনি। ইউপি সদস্য মহিতুল শেখ বলেন, বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মোর্শেদের দাবি, সে নিজের জমি ঘিরেছে। আমি উপস্থিত থেকে তাকে বেড়া সরাতে বলেছি। পরে জমি মাপামাপি করে সমাধানের কথা বলেছি। কিন্তু সে অনুরোধ রাখেনি।

খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই সালাউদ্দিন বলেন, কেউ বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন