হরিণের ধাওয়া থেকে কোনভাবেই পালাতে পারছেন না সালমান খান

কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে গত বছর। পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি পান এ অভিনেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলার একটি শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় নতুন করে হুশিয়ারি পেয়েছেন সালমান খান।

তাঁকে সতর্ক করে যোধপুর আদালত শেষবারের মতো একটা সুযোগ দিয়েছে। সালমান খান যদি পরবর্তী শুনানিতে উপস্থিত না থাকেন তাহলে তার জামিন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।

প্রসঙ্গত, শ্যুটিং থেকে সময় বের করতে না পারার কারণে তিনি ৪ জুলাই শুনানির দিন উপস্থিত থাকতে পারছেন না বলে আদালতে আবেদন করেছিলেন সালমান। যদিও আদালত সেই আবেদন মানেনি। বিচারক চন্দ্রকুমার সোনগারা ওবং সরকার পক্ষের আইনজীবীও মহিপাল বিষ্ণইও সলমনের আইনজীবীকে এবিষয়ে সতর্ক করেন।

এবিষয়ে সালমানের আইনজীবী এইচ এম সরস্বত বলেন, “শ্যুটিং থেকে সময় বের করতে না পারার কারণে আদালতে আসতে পারেননি সালমান। আদালত সালমানকে নির্দেশ দিয়েছে পরবর্তী শুনানির জন্য উপস্থিত থাকার জন্য। আমরা আদালতের এই নির্দেশকে সম্মান করি।”

২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় সালমানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে যোধপুর সেন্ট্রাল জেল। এর বিরুদ্ধে জামিনের আবেদন করেন ভাইজান। সালমানের সঙ্গী সাইফ আলি খান, টাবু, নীলম এবং সোনালি বেন্দ্রেকে বেকসুর খালাস করে আদালত।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য যোধপুর গিয়েছিলেন তারা। সেই সময় এক নাইট সাফারিতে গিয়ে সালমান দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেন বলে অভিযোগ। জামিন পাওয়ার আগে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে দুই রাত কাটাতেও হয়েছে সল্লুকে। জিনিউজ।

আপনি আরও পড়তে পারেন