সামুগ্রিক মৎস্য আহরণে বাংলাদেশের সামনে বিপুল সম্ভাবনা : মেয়র লিটন

 রাজশাহী ব্যুরো ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না) রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহী তথা উত্তরাঞ্চলে খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত উৎপাদন হয়। রাজশাহী থেকে তাজা মাছ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। মাছ উৎপাদন করে চাষীরা সাবলম্বী হচ্ছেন, পাশাপাশি দেশের চাহিদা মেটাচ্ছে। অন্যান্য ফসলের মতো মাছ উৎপাদনেও রাজশাহীতে উদ্বৃত্ত থাকছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মৎস্য সেক্টরের সমৃদ্ধি, সুনীল অর্থনীতির অগ্রগতি’ স্লোগানকে সামনে রেখে মৎস অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন রাজশাহী উদ্যোগে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯ (১৭-২৩ জুলাই) এর উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য মেয়র আরো বলেন, মাছ উৎপাদনে বিশে^র অন্যতম দেশ বাংলাদেশ। মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশে^ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। মেয়র বলেন, বাংলাদেশ বিশাল সমুদ্রসীমা বিজয় করেছে। এরমাধ্যমে সমুগ্রিক মাছ আহরণের জন্য বাংলাদেশের সামনে বিপুল সম্ভাবনা পড়ে আছে। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক পারভেজ রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নিশারুল আরিফ, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আমির জাফর, মৎস্য অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের উপ-পরিচালক হাসান ফেরদৌস সরকার। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী উপ-পরিচালক সামসুল হক, রাজশাহী মহানগর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ সোলায়মান, বাণিজ্যিক মৎস্যচাষী সোহরাব আলী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য মাছ ব্যবসায়ী ও চাষীরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। মাছ উৎপাদনে বিশেষ অবদান রাখায় অনুষ্ঠানে জেলার দুর্গাপুর উপজেলার যোগিলা গ্রামের মাছ চাষী আয়নাল হক, পবা উপজেলার খিরসিন গ্রামের কামাল উদ্দিন ও পুঠিয়া উপজেলার শুকপাড়া গ্রামের মাছচাষী এরশাদ আলীকে সম্মননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আলোচনা সভা শেষে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়খানার জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এরআগে মৎস সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে সকালে শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান জেলা পরিষদ মিলনায়তনের সামনে থেকে বেরা করা হয় বর্ণাঢ্য র‌্যালি। র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সামনে গিয়ে শেষ হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন