নুসরাত হত্যা: পরিচয় গোপন করতে বোরখা পরেছিলো জোবায়ের

ফেনীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বুধবার (২৪ জুলাই) আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সোনাগাজী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহাম্মদ মহি উদ্দিন চৌধুরী। তিনি আদালতকে বলেন, ২০ এপ্রিল সকাল ১১টার দিকে পিবিআইয়ের একটি টিম মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম মো. জোবায়েরকে নিয়ে সোনাগাজী সরকারী কলেজের দক্ষিণ পাশে ডাঙ্গি খালের নিকট আসে।

আমি সংবাদ পেয়ে আমার কলেজের উপাধ্যক্ষ রেজাসহ সেখানে যাই। ঘটনার দিন আসামি জোবায়েরের পরিহিত বোরখাটি উদ্ধারের জন্য তার দেখানো মতে আমাদের সম্মুখে স্থানীয় লোকজন দিয়ে তল্লাশি করে। তল্লাশির এক পর্যায়ে সোনাগাজী-দাসেরহাট সড়কের শেখ গোলাম সরোয়ার মানিকের দোচালা টিনের ঘর সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে খালের ভিতর থেকে একটি কালো বোরখা উদ্ধার করা হয়। উক্ত বোরখাটি আমার সামনে জব্দ করা হয়। পরে আমি জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করি। আমাদের সম্মুখে আসামি সাইফুল ইসলাম মো. জোবায়ের জানায়, নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন দেওয়ার সময় সে তার পরিচয় গোপন করার জন্য বোরখাটি পরিধান করেছিলো। আগুন দিয়ে পালানোর সময় বোরখাটি সে উক্ত স্থানে ফেলে যায়।

নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বুধবার ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে প্রফেসর মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী, হাফেজ মোবারক হোসেন, মো. ইব্রাহীম, রেজা মো.এনামুল হক, মো. নুর উদ্দিন, আকরাম হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ফেনী জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ বলেন, ৬ এপ্রিল ঘটনার দিন অথ্যাৎ সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নুসরাত কিলিং মিশনে জোবায়েরের ব্যবহৃত বোরখা পুলিশ জব্দ করেছিলো তা সাক্ষীরা আজ আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন। পুলিশ ওই বোরখা খাল থেকে জব্দ করার বিষয় সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৪ জন সাক্ষ্য দিবেন। তারা হচ্ছেন- এমদাদ হোসেন পিঙ্গেল, মো. শাহজাহান, মো. আবুল কাশেম, ছেলিনুর রেজা। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৭ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২৭ জুন থেকে এ মামলার সাক্ষি কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুর পর থেকে প্রতি কর্মদিবসে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ চালিয়ে যাচ্ছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন