চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় শশুড়বাড়িতে বেড়াতে আসা জামাইকে গলাকাটা সন্দেহে গনপিটুনি

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি,মামুন মোল্লা (২৫.০৭.২০১৯)
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে গলাকাটা সন্দেহে  গণপিটুনির শিকার হয়েছে এক যুবক। জানা গেছে, ছেলেধরা সন্দেহে এলাকার লোকজন তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বুধবার দুপুরে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইন্দিপুর গ্রামের মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনির শিকার যুবক আলেক হোসেন পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর সদর উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের মৃত ফকির বিশ্বাসের ছেলে এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার বড় হাপানিয়া গ্রামের ইনতাজ আলীর জামাই।
পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, যুবক আলেক হোসেন বুধবার দুপুরের দিকে আইন্দিপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসা এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। এসময় মাদ্রাসার এক ছাত্রের সাথে সে কথা বলে। এতে আশপাশ এলাকার লোকজন তাকে ছেলেধরা সন্দেহ করে। ছেলেধরা বলে কয়েকজন চেঁচিয়ে উঠলে যুবক আলেক হোসেন গণপিটুনির ভয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন তাকে তাড়িয়ে ধরে গণপিটুনি দেয়।
মাটিতে পড়ে আলেক হোসেন নেতিয়ে গেলে স্থানীয় বড় গাংনী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। গণপিটুনির শিকার যুবক আলেক হোসেন বলেছে, সে একজন মিষ্টি কুমড়া ব্যবসায়ী। কৃষকের মাঠ থেকে কুমড়া কেনার উদ্দেশে সে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় আসে। পরে ছেলেধরা সন্দেহে এলাকার লোকজন তাকে বেধড়ক পেটায়।
আলমডাঙ্গা বড় গাংনী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এএসআই মহিউদ্দিন বলেন, ‘আলেক হোসেন একজন কুমড়া ব্যবসায়ী। এলাকার লোকজন ছেলেধরা সন্দেহে তাকে পিটিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। না হলে উত্তেজিত জনতা হয়তো তাকে পিটিয়ে মারত। তবে যেহেতু বধুবার সকালে নিকটবর্তী কয়রাডাঙ্গা গ্রামে আবির হোসেন নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মাথা কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তাই আলেক হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলমডাঙ্গা থানায় নেয়া হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন