আস্থা বাড়ছে বোলার সৌম্যে

 

সৌম্য যে বোলিং পারেন জাতীয় দলে ঢোকার পর সেটা একপ্রকার ভুলতেই বসেছিলেন। এই বিশ্বকাপের আগে সেভাবে মনে করাই কষ্ট, কখন কবে কোথায় কোন ম্যাচে এক-দুই ওভার বোলিং দেওয়া হয়েছিল তাকে। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর গত সাড়ে চার বছরে ২৪ ওভার বল করেছিলেন স্লো মিডিয়াম এ পেসার। উইকেট ছিল একটি।

সেই সৌম্যই এবার বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে ১৪ ওভার বল করে চার উইকেট পেলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫৮ রানে তিন উইকেট নিয়ে দলের সেরাও হলেন। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে দুই ম্যাচের কয়েকটি স্পেল বোলার সৌম্যকে যেমন জাগিয়ে দিয়েছে তেমনি স্কোয়াডে যোগ হয়েছে একজন বাড়তি বোলার। বোলার সৌম্যর ওপর টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থাও তাই বেড়েছে আগের চেয়ে। গতকাল কলম্বোতে ভারপ্রাপ্ত কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন সে বার্তাই দিলেন সৌম্যর বোলিং নিয়ে।

শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হয়তো নিয়মিত বোলিং পাবেন না সৌম্য। নিয়মিত বোলাররা ভালো করলে সে সুযোগও থাকবে না। অনিয়মিত এ পেসারকে বোলিংয়ে আনা হতে পারে ব্রেক থ্রু পাওয়ার জন্য। কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন যেমন বললেন, ‘আমি তো চাই সৌম্য বোলিং করুক। মিডল ওভার এবং ডেথ ওভারে ও ভালো করে। অবশ্যই এটা ক্যাপ্টেন্স কল। মাঠে যদি ওকে লাগে সে সাপোর্ট দেবে। আর আমরাও তাকে ওইভাবে প্রস্তুত করেছি। প্র্যাকটিস গেমে সৌম্য ভালো সাড়া দিয়েছে। ভালো কিছু ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছে। সৌম্যকে অবশ্যই বোলিং অপশনে চিন্তা করি।’

মঙ্গলবার শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে টাইগারদের প্রস্তুতি ম্যাচে ছয় ওভার বল করেন সৌম্য। ২৯ রান দিয়ে শিকার করেন দুই উইকেট। রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমানদের মতো পুরোদস্তুর বোলারের মতোই দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে এই ডানহাতি পেসারকে। শ্রীলংকার বিপক্ষে আগেও বল করার অভিজ্ঞতা আছে সৌম্যর।

২০১৭ সালের নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ডেথ ওভারে তার হাতে বল তুলে দিয়ে বাজি খেলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যদিও প্রচণ্ড চাপে ধমনীতে রক্তে উচ্চচাপ নিয়েও লড়াকু মানসিকতা দেখান সৌম্য। এবারও প্রয়োজন হলে তার বোলিংটা কাজে লাগাতে পারবেন অধিনায়ক। কারণ সৌম্যর বোলিং একটি বিকল্প অস্ত্র, নেতা তামিম চাইলেই তাকে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাজির ঘোড়া বানাতে পারেন।

তবে কোচ খালেদ মাহমুদ গতকাল ইঙ্গিত দেন, বোলিং নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। যে কারণে স্কোয়াডে চার পেসার থাকলেও গতকাল ঢাকা থেকে উড়িয়ে নিয়ে গেছেন শফিউল ইসলামকে, ‘আসলে একজন ফাস্ট বোলার দরকার ছিল। শফিউল অভিজ্ঞ বোলার। ডেথ বোলিং নিয়ে চিন্তায় আছি। শফিউল বিপিএল ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডেথ ওভারে ভালো করেছে। মাশরাফি, সাকিব না থাকায় বোলিং নিয়ে একটু চিন্তায় আছি। শফিউল যোগ হওয়ায় একটা ব্যাকআপ থাকল।’

আপনি আরও পড়তে পারেন