কক্সবাজারে আনা হচ্ছে ইয়াবা সম্রাট শাহাজাহানকে

ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় যশোর বেনাপোল সীমান্তে আটক টেকনাফের সম্রাট ও টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহাজাহানকে কক্সবাজারে আনা হচ্ছে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে জেলা পুলিশের একটি দল বেনাপোলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। শনিবার (২৭ জুলাই) যেকোন সময়ে বেনাপোল থেকে শাহাজাহানকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌছার কথা রয়েছে। কক্সবাজারে পৌছার পর সংশ্লিষ্ট মামলা রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হবে। এমনটি জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন।

মো: ইকবাল হোসেন আরও জানান, টেকনাফের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় নাম থাকা ইয়াবাকারবারি মো: শাহাজাহান বেনাপোল দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হয়েছে। এই খবরে কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি দল বেনাপোলে পৌছে গেছে। আজকালের মধ্যে যেকোন সময় শাহাজাহানকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌছতে পারে। তিনি বলেন, কে কোথায় আটক হয়েছে সেটি বড় কথা নয়। সবাই আইনের চোখে সমান। আমরা চাই চিরতরে ইয়াবাসহ সকল প্রকার মাদকমুক্ত হউক দেশ। এজন্য সারাদেশের পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনী এলার্ট রয়েছে। যাতে করে কোন অপরাধী দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ টেকনাফের বহুল আলোচিত ইয়াবাকারবারি শাহাজাহানকে আটক করে। পরে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তথ্য যাচাই করে তার বিরুদ্ধে একাধিক কালো তালিকা নাম থাকায় তাকে গ্রেফতার করে পোর্টথানা পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য, পুলিশের প্রতিবেদন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তালিকাসহ প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের তালিকায় এটাই স্পষ্ট যে, টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে পিতা-পুত্রের সিন্ডিকেটটি অত্যন্ত শক্তিশালী। ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনের সাথে আত্মসমর্পণ করেন এক পুত্র দিদার আহমদ।                                                                                                        সম্প্রতি ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান কঠোর হলে পিতা জাফর আহমদ ও ছেলে মো. শাহজাহান আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যে তাদের লেঙ্গুর বিলস্থ বাড়িটি অজ্ঞাত হামলায় ভাঙচুরও হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য রের্ড এর্লাট জারি করে।

আপনি আরও পড়তে পারেন