রাজশাহী ব্যুরো ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না)
বিগত চার বছর থেকে পুঁজি সংকটে রয়েছে রাজশাহীর চামড়া ব্যবসায়ীরা। ট্যানারি মালিকদের কাছে চার বছরের পাওনা টাকা রয়েই গেছে তাদের। এর ফলে আশঙ্কা থাকছে চামড়া পাচারের। এবারও আসন্ন কোরবানিতে পশুর চামড়া কিনতে গিয়ে বেগ পেতে হবে তাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে তাদের চার বছরের পাওনা টাকা বকেয়া পড়ে আছে। গত বছরের চামড়া বিক্রির এ টাকা ব্যবসায়ীরা এখনও হাতে পাননি। ফলে এবার পড়েছেন চরম পুঁজি সংকটে। গত দুই যুগ ধরেই খুঁড়িয়ে চলছে রাজশাহীতে চামড়ার ব্যবসা। রাজশাহীতে ২০ বছর ধরে চামড়া ব্যবসা করেন রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, গত ৫ বছর থেকে তার সংকট চলছে। ট্যানারি মালিকরা টাকা দিচ্ছে না। এবছর প্রচুর সংকটে রয়েছে। কোনোমতে ধরে রেখেছিলেন বাবার চামড়ার ব্যবসাটি। এবছর পুরাতন কোন টাকা না পেলে চামড়া কিনবেন না তিনি বলে এই ব্যবসায়ী। তবে এবার সুযোগে চামড়া পাচার হয়ে ভারতে যাবে না বলে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী চামড়া ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ। তিনি বলেন, ছাড়পত্র নিয়ে চামড়া পরিবহন হয়। তাছাড়া প্রশাসন পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এজন্য তেমন কোন সংশয় নেই পাচারের। এদিকে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানি পশুর চমড়ার দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাহিরে ৩৫-৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া খাসির চামড়া ১৮-২০ টাকা, বকরির ১৩-১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ঢাকায় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।