আশুলিয়ায় রোধ করা যাচ্ছেনা গ্যাসের অবৈধ সংযোগ

সুচিত্রা রায়, নিজেস্ব প্রতিবেদক :
আশুলিয়ায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের দেড় মাসের মাথায় ৩০-৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাতের আধাঁরে ফের বিচ্ছিন্ন সংযোগ চালুকরে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। আবাসিক থেকে শুরু করে হোটেল রেস্তরাঁ এমনকি বহুতল ভবনে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং নিরাপত্তার চরম ঝুঁকি রেখে স্থানীয় নেতা,প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং তিতাসের অসাধু ঠিকাদারদের যোগসাজশে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর পুণরায় মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে এসমস্থ সংযোগ দিচ্ছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।

অনুসন্ধানে জানা যায়, কাঠগড়ার বটতলা নামক এলাকায় মাত্র দেড়মাস আগে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সাভার জোনাল অফিস অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। দেড়মাসের মাথায় ওই এলাকার শাহীন এবং ফারুক রাইজার প্রতি ৩০-৪০ হাজার করে টাকা নিয়ে ফের সংযোগগুলো চালু করে দেয়। ফারুকের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি একাজের সাথে জরীত না , লাইন দিয়েছে শাহীন। তবে শাহীনের মোবাইলে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জিরাবো বাসস্ট্যান্ডে হৃদয় বেকারী এন্ড হোটেলে রয়েছে অবৈধ সংযোগ। হোটেল মালিক জাহাঙ্গীর এর স্ত্রী জানান, তাদের সংযোগের ব্যপারে গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। তিনি আরো বলেন, জিরাবো স্ট্যান্ডে সব হোটেল রেস্তঁরার গ্যাস সংযোগই অবৈধ।
এদিকে নরসিংহপুর বুড়িপাড়ায় বাসাবাড়িতে প্রায় সাত শতাধিক গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিয়েছে একটি প্রভাবশালী চক্র ।

মূলত আশুলিয়ায় অ ল ভিত্তিক রয়েছে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দেওয়ার কয়েকটি চক্র। শুধু অবৈধ সংযোগের কারবার করে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি থেকে কোটিপতি বনে যাওয়ার খবরও পাওয়া গেছে । যার নামের আগে গ্যাস উপাধি দিয়েছে আশুলিয়াবাসী।

এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সাভার জোনাল অফিসের ব্যবস্থাপক আবু শাদাৎ মো. সায়েম বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আরো কয়েকটি এলাকায় অবৈধ সংযোগের খবর পেয়েছি সেসমস্থ এলাকায় অচিরেই অভিযানে যাবো । আর যদি আমার অফিসের কেউ এহেন কাজের সাথে জরীত থাকার সুনিদৃষ্ট প্রমান দিতে পারে তাদেও বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা নেবো।

আপনি আরও পড়তে পারেন