শিবালয়ে জাফরগঞ্জ হাটের ইজারা না হওয়ায় সরকার রাজস্ব আয়ে বঞ্চিত

EPSOON Android TV

শিবালয় উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জাফরগঞ্জ হাট-বাজার নিয়ে একটি চিহ্নিত মহলের অপ তৎপরতা ও কারসাজির কারণে ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্ট মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে হাটের ইজারা বন্ধ থাকায় সরকার মোটা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এমন পরিস্থিতিতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জানা গেছে, মোঘল সুবেদার জাফর শাহ নদী পথে দিল্লি থেকে বাংলায় প্রবেশকালে সৈন্য-সমর্থ নিয়ে জাফরগঞ্জ অবস্থান কালে তাঁর নামানুসারে এ স্থান ‘জাফরগঞ্জ’ নামে অভিহিত হয়। ঐতিহাসিক কারণে যমুনার তীরে অবস্থিত ‘জাফরগঞ্জ বন্দর’ দারুণ পরিচিতি লাভ করে।

স্থানীয়রা জানায়, জাফরগঞ্জ বন্দর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা প্রায় ২৫ বছর ধরে নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে পূর্বদিকে হটে আসায় সরকার ২০১৬ সালে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্যয়ে ‘যমুনা নদীর পূর্বতীর সংরক্ষণ প্রকল্প’ গ্রহণ করে। প্রতি সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার দুদিন এ স্থানে হাট বসে। পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলের বিপুল সংখ্যক লোকজন প্রত্যাহ জাফরগঞ্জ হয়ে গন্তব্যে যাতায়াত করায় স্থানীয় এ হাট-বাজার বেশ পরিচিতি লাভ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বেশ প্রসার ঘটে। ইদানিং স্থানীয় একটি মহল এ হাটের গুরুত্ব বিবেচনা না করে নব-নির্মিত বাঁধের দক্ষিণে ব্যক্তিগত জায়গা ভরাট করে হাট-বাজার বসানোর অপচেষ্টা চালায়। ব্যবসায়ীরা এতে আপত্তি করায় পুলিশি ভয়ভীতি ও হয়রানির চেষ্টা চলে।

নতুন করে হাট-বাজার বর্ধিত করার অপচেষ্টা অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে হাটের ইজারা গ্রহন ব্যাহত হয়। গত বছর প্রায় ২৬ লাখ টাকায় হাট ইজারা হলেও এমন পরিস্থিতিতে এবার ইজারা না নেয়ায় সরকার মোটা টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়।

অভিযোগ রয়েছে, একটি মহল ‘জাফরগঞ্জ নদীবন্দর ও হাট-বাজার’ নামে নতুন উদ্যোগ নেয়ার পর ক্রয়-বিক্রয়, পন্য আনা-নেয়া, খাজনা আদায়সহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়।

এ প্রসঙ্গে শিবালয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, জাফরগঞ্জ নদীবন্দর ও হাট-বাজার বর্ধিতকরণ সম্পর্কিত অভিযোগের বিষয় নানা বিধ কারনে স্থগিত রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন