টাংগাইল মির্জাপুরে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ও তার সহযোগী একদিনের রিমান্ডে

টাংগাইল মির্জাপুরে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ও তার সহযোগী একদিনের রিমান্ডে

 

মাসুদ পারভেজ, টাংগাইল প্রতিনিধি:

 

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির পরীক্ষারর্থীকে কোমল পানীয় সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার রাকিবুল ও সোহান আহম্মেদকে এক দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরামুল হকের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক তাদের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এঘটনায় জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক ধর্ষক রাকিবুল ইসলাম সিকদার ও তার সহযোগি সোহান আহম্মেদের পিতা যথাক্রমে বংশাই স্কুল এন্ড কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আতিকুল ইসলাম সিকদার, আজগানা ইউপি চেয়ারম্যান রকিফুল ইসলাম সিকদার ও তার ছোট ভাই মো. সাহাদত সিকদারকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছিল, কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হবার পরে ধর্ষক ও তার সহযোগিদের গ্রেপ্তার করতে সোমবার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশ ধর্ষক রাকিবুল ইসলামের পিতা আতিকুল ইসলাম সিকদার ও সোহান আহম্মেদের পিতা রফিকুল ইসলাম সিকদার ও তার ছোট ভাই সাহাদত সিকদারকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করেছিল। উল্লেখ্য ২০ নভেম্বর সকালে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বংশাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে একই এলাকার আতিকুল ইসলাম সিকদারের ছেলে রাকিবুল ইসলাম সিকদার (২৪), রফিকুল ইসলাম সিকদারের ছেলে সোহান আহম্মেদ পাশের বেলতৈল গ্রামের জসিম সিকদারের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়ির একটি কক্ষে ওই শিক্ষার্থীকে কোমল পানীয় সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে রাকিবুল ধর্ষণ করে।এতে সহযোগিতা করে সোহান আহম্মেদ, জসিম সিকদার ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম।ধর্ষকের পরিববার প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি নানাভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ উঠে। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সোমবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় ধর্ষক রাকিবুল ইসলাম সিকদারসহ চারজনকে আসামী করে মামলা করে। মামলা নং ৩৬/৩৬৮ তাং ২৬/১১/২০১৯। রাতেই ধর্ষক রাকিবুল ইসলাম সিকদার ও তার সহযোগি সোহান আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে। তবে অপর দুই সহযোগি জসিম ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরন করলে বিচারক রাকিবুল ও সোহানের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শ্যামল কুমার দত্ত জানিয়েছেন।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন