মাত্রাতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী কন্যার মৃত্যু

মামার বাড়িতে যাবার কথা বলে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে মাদক সেবনে রাজধানীর এ লেভেলের এক মেধাবী ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকের মতে তিনি অতিরিক্ত ইয়াবা সেবন করেছিলেন। পুলিশ এ ঘটনায় ওই তরুণী ছাত্রীর কথিত প্রেমিক ওয়ালী আহমদ খান নামের এক যুবকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

পুলিশ জানিয়েছে, স্বর্ণা রশিদ রাজধানী ঢাকার কোতোয়ালী চকবাজারের ৭ নম্বর বেগম বাজার এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদ পাপ্পুর কন্যা। কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. শরীফ উল্লাহ স্বর্ণার পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানান, মূলত স্বর্ণা তার মামার বাড়িতে যাবার কথা বলেই বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজার চলে আসেন।

হোটেল জামান নামে একটি হোটেলে তারা কক্ষ ভাড়া নেন। হোটেলে উঠে বিকেলে সৈকত ভ্রমণে যান স্বর্ণারা। সন্ধ্যার দিকে হোটেল কক্ষে ফিরে বন্ধু-বান্ধব মিলে মাদক সেবনে মত্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে মাদকের ঘোরে বেহুঁশ হয়ে পড়েন স্বর্ণা রশিদ। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।

কক্সবাজার হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাকে দেখে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তার বন্ধুরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ভর্তি করেনি। তারা ভর্তি না করে ফিরে যান।

তিনি বলেন, সঙ্গীরা মাদকসেবী মেয়েটিকে নিয়ে যাবার বেশ কিছুক্ষণ পর আবারো হাসপাতালে আসেন। তখর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা। ডা. শাহীন মেয়েটিকে পরীক্ষা করে দেখেন ততক্ষনে তার প্রাণ বায়ু নিভে গেছে। ডা. শাহীনের মতে বেশি পরিমাণে (ওভার ডোজ) ইয়াবা সেবন করায় তার মৃত্যু হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান কবির বলেন, মেয়েটি বাড়িতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চলে আসেন কক্সবাজারে। তার শোকাহত বাবা মেয়ের কথা বলতে বলতে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার রাতেই মেয়েটির মরদেহ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার বাবার নির্দেশনার পর মামলার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় স্বর্ণার বন্ধুকে আটক করা হয়েছে। আটক ওয়ালী ঢাকার ২২, সিদ্ধেশ্বরী রোডের মনিমান টাওয়ারের বাসিন্দা আলী রেজা খানের ছেলে।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন