ভাইরাসবাহী সন্দেহে বাংলাদেশিকে ভারতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি

ই মাস আগে চীন ভ্রমণ করায় শওকত আহমেদ নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে ভিসা থাকা সত্ত্বেও ভারতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। করোনাভাইরাস আতঙ্কে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশন থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

তার পাসপোর্ট নাম্বার (BJ0928049) ও ভারতীয় ভিসা নম্বর (VL532502)। যদিও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি তার।

শওকত আহমেদ ফেনী সদর উপজেলার সাহিবপুর গ্রামের সৈয়দ আহমেদের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামে মোটর যন্ত্রাংশের ব্যবসা করেন। ব্যবসায়িক কাজে গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে চীন ভ্রমণ করেছিলেন তিনি। শওকত আহমেদ জানান, এক সপ্তাহ ভ্রমণ শেষে গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে চীন থেকে দেশে ফেরেন তিনি। কেনাকাটা ও বেড়ানোর জন্য সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে ঢোকেন শওকত। এরপর পাসপোর্টে চীনের ভিসা দেখতে পেয়ে আগরতলা ইমিগ্রেশনে তাকে আটকে দেয়া হয়।

ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বলেন চীনে করোনা ভাইসারের সমস্যা চলছে। আপনি মাত্র দুই মাস আগে চীন ভ্রমণ করেছেন। সেজন্য আপনাকে ঢুকতে দেয়া যাবে না। আপনি এক মাস পরে আসেন। কিন্তু তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ ছিল না। বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর আখাউড়া ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেও ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোর্শেদুল হক বলেন, শওকতের শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ নেই। চেকপোস্টে খোলা স্বাস্থ্য ডেস্কে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তিনি পুরোপুরি ফিট আছেন। শুধুমাত্র চীন ভ্রমণের কারণেই তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা আবদুল হামিদ জানান, সোমবার শওকত আহমেদকে যাবতীয় পরীক্ষা শেষে ভারত ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু তার শরীরে করোনা ভাইরাস রয়েছে এমন কোনো পরীক্ষা বা প্রমাণ ছাড়াই আগরতলা ইমিগ্রেশন তাকে ফেরত পাঠিয়েছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

স্বাস্থ্য অধিদফরের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরেও করোনা ভাইরাসবাহী শনাক্তে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে সিভিল সার্জন অফিস।

আপনি আরও পড়তে পারেন