স্বামীকে মদ খাইয়ে নববধূকে ‘গণধর্ষণ’ করল বন্ধুরা

বিয়ের মাসখানেক পরে গণধর্ষণের শিকার হলেন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বসিরহাটে।

নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত দিলীপ সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এক অভিযুক্ত পলাতক। বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ওই তরুণী।

বসিরহাটের সাইপালার বাসিন্দা ওই তরুণী দ্বিতীয় বর্ষের স্নাতকের ছাত্রী। মাসখানেক আগে মাধ্যমিক পড়ুয়া এক যুবকের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের অমতে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু ঘরে ঠাঁই না হওয়ায় বসিরহাট স্টেশনের কাছে একটি বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে ওই দম্পতি।

সংসার চালানোর খরচ জোগাড় করতে দিলীপ সরকারের কাছে মজুরির কাজ জোটান ওই যুবক। অভাবী দম্পতির বাড়িতে রোজই যাতায়াত ছিল দিলীপের।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দিলীপ সরকার, তার ভাগ্নে সমীর গাইন ওরফে গফু ও সুনীল গাইনকে সঙ্গে নিয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে মদ্যপান করেন তারা। রাত ১২টার দিকে সুনীল চলে যান। মদ্যপান করে তখন নেশায় বুঁদ ওই তরুণীর স্বামী। সেই সুযোগে খুনের হুমকি দিয়ে দিলীপ ও সমীর তরুণীর মুখ চেপে পাশবিক অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ।

ওই তরুণী জানান, বাড়ি থেকে বিয়ে মেনে না নেওয়ায় বসিরহাট স্টেশানের কাছে একটি ঘর ভাড়া করে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। দিলীপকে মামা বলে ডাকতেন।

নির্যাতিতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে দিলীপ সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন