মোটর মেকানিককে পিটিয়ে হত্যা করল মাদক ব্যবসায়ীরা

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শুভ (১৮) নামে এক মোটর মেকানিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়া ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জনি ও আনিসসহ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার দিকে সদর উপজেলের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমরাইল উত্তরপাড়া এলাকায় রাস্তার গলিতে এ হত্যাকান্ড ঘটে। এসময় জুম্মন নামে এক যুবক আহত হয়েছে বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।

নিহত শুভ সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল উত্তরপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীরের বাড়ির ভাড়াটে বাসিন্দা আব্দুর রবের ছেলে। তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুর পূর্বপাড়ের সাজেদা হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ট্রাকের গ্যারেজে মোটর মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন।

এলাকাবাসী জানান, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জনি শিমরাইল উত্তরপাড়া এলাকার মাদক সম্রাজ্ঞী ধেন্দি নাজমার মেয়ে মাদক ব্যবসায়ী বীথির স্বামী এবং মাদক ব্যবসায়ী আনিস একই এলাকার আ: আজিজের ছেলে। এছাড়া জনি ও আনিস সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই। এই দুই পরিবারটি এলাকার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে গ্যারেজ থেকে কাজ শেষ করে শুভ বাসায় ফিরছিলেন। পথে শিমরাইল উত্তরপাড়া স্বর্ণকারের বাড়ির পেছনে গলির রাস্তায় দেখা হয় ইয়াবা ব্যবসায়ী জনি ও আনিসসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর। এসময় শুভকে একা পেয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে মাদক ব্যবসায়ী জনি, আনিস ও তাদের সহযোগী মাদক বিক্রেতারা।

এসময় আহত শুভর ডাক চিৎকারে জুম্মন নামে সেখানকার এক যুবক এগিয়ে এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মাদক ব্যবসায়ীরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও পিটিয়ে আহত করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে প্রথমে স্থানীয় সাজেদা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে আহত শুভর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভকে মৃত ঘোষণা করেন। জুম্মনকেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: কামরুল ফারুক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এবং ঢাকা মেডিকেলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন