মসজিদুল আকসায় মুসল্লিদের মারধর করল ইসরাইলি সেনারা

বিশ্বের মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান মসজিদুল আকসায় মুসল্লিদের মারধর করেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এতে বেশ কয়েকজন মুসল্লি মারাত্মক আহত হয়েছেন।

কয়েকজনকে টেনে-হিঁচড়ে সঙ্গে করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে।

মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (স.)’র স্পর্শধন্য এই মসজিদে নামাজ পড়তে আজ হাজার হাজার মুসল্লি সেখানে উপস্থিত হলেও অনেকেই ভেতরে ঢুকতে পারেননি। তাদেরকে প্রবেশদ্বার থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা বাধ্য হয়ে মসজিদের আশেপাশের সড়ক ও গলিতে নামাজ আদায় করেছেন।

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন ‘ইসলামি জিহাদ’ গতকাল এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত ষড়যন্ত্র ‘ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি’র প্রতিবাদ ও পবিত্র স্থানগুলো রক্ষার অংশ হিসেবে শুক্রবার নামাজে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

ট্রাম্প ওই পরিকল্পনা ঘোষণার পরপরই তা প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনের সব দল ও সংগঠন সমস্বরে ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে ফিলিস্তিন বিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অথচ গত ২৮ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সামনে রেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার `ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি` ঘোষণায় বলেছিলেন, আল-আকসা মসজিদের ভূ-খন্ড ইসরায়েলের অধিকারে থাকলেও ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে সেখানে নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে দেয়া হবে।

আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জর্ডান সরকার।

প্রসঙ্গত, জেরুজালেমে অবস্থিত ধর্মীয় এই স্থাপনায় অভিযান, বন্ধ করে দেয়া এবং সেখান থেকে প্রার্থনারত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। আবার ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা মাঝে মাঝেই মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলা চালায়। ফলে ফিলিস্তিনি মুসলিমরা প্রায়ক্ষেত্রেই পুরোপুরিভাবে মসজিদ ব্যবহার করতে পারে না। এমনকি অন্যান্য দেশ থেকে মুসলিমরা মসজিদ ভ্রমণে গেলেও সম্মুখীন হতে হয় ইসরায়েলি বাধার।

আপনি আরও পড়তে পারেন