সংঘর্ষ থামাতে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাইলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী

মৃত্যুমিছিল আটকানো যাচ্ছে না ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশটির রাজধানীতে ভয়াবহ সংঘর্ষে এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া বহু সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো। এদিকে সংঘর্ষ থামাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী চাইলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু কোনোভাবেই পেরে উঠছে না। সংঘর্ষ প্রবণ কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

 

কেজরিওয়াল আরও জানান, একটি চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিষয়টি অবিহিত করা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের শুরুর দিন থেকেই রাজধানী নয়াদিল্লি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাজপথগুলো পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। এখন পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনায় ২০ জন নিহতের খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বাসভবনের বাইরে জড়ো হন বহু মানুষ, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া। রাজধানীতে হিংসা রুখতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা।

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন এবং জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে মঙ্গলবার কেজরীবালের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। তাতে সাড়া দিয়ে গভীর রাতে বহু মানুষ জড়ো হন মুখ্যমন্ত্রীবাসভবনের কাছে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও ছিলেন সেখানে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন তারা।

দাবি ওঠে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির যে যে এলাকায় হিংসা ছড়িয়েছে, অবিলম্বে সেখানে যেতে হবে কেজরীবালকে। স্থানীয় বিধায়কদের শান্তি মিছিল বার করতে নির্দেশ দিতে হবে, যাতে যে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে রাশ টানা যায়।

আপনি আরও পড়তে পারেন