নতুন শপথ নিয়ে এল আগুনঝরা মার্চ

বছর ঘুরে আবারও এসেছে আগুনঝরা মার্চ।১৯৭১ সালের এই মার্চ মাসেই স্বাধীনতার শপথে শুরু হয়েছিল বাঙালির পথচলা। একটি তর্জনির নির্দেশে গর্জে ওঠেছিল গোটা জাতি, মৃত্যুর বিভীষিকা পেরিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপ দেওয়ার অনন্য ইতিহাস রচিত হয়েছিল এই মার্চেই। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর এবারের আগুনঝরা মার্চ নতুন আবেদন নিয়ে জাতির সামনে এসেছে, কেননা ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন। পিতাহত্যার কালিমা মুছবে জাতি বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন থেকে মুজিববর্ষ পালনের মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন শিখর ছোঁয়ার নতুন শপথ নেবে জাতি এই মার্চেই শুরু হওয়া মুজিব বর্ষে।

প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস দিয়ে ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছিল আগুনঝরা মার্চের গরিমা।তবে সত্য তার আপন শক্তিতেই বিকশিত হয়, চোখের সামনে থেকে সরিয়ে দেয় কালো পর্দা। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ পৌছে যায় প্রজন্মের কাছে। অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে পৌছে গেছে সেই ভাষণে মহত্ব। আহ্ কী ভাষণ! কী বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর! কী বিশাল ব্যক্তিত্ব! কী বিচক্ষণতার বহিঃপ্রকাশ!

লাখ লাখ জনতা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, কখন আসবেন তাঁদের প্রিয় নেতা, কী বলবেন এই হতভাগ্য জাতির জন্য; কী দিক নির্দেশনা অপেক্ষা করছে নির্যাতিত নিপীড়িত বাঙালি জাতির জন্য। বাঙালির পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। অপেক্ষার পালা শেষ। বাঁচার মতো বাঁচা না হলে এ জীবনের কি মূল্য? পরাধীনতার শৃঙ্খল পরে কোনো মর্যাদাসম্পন্ন জাতি বেঁচে থাকতে পারে না! এ শৃঙ্খল ভাঙতেই হবে!

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠনের সুযোগ পায়, কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক জান্তা পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে রাজি নয়। যদিও ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশনের তারিখ নির্ধারিত হয়, কিন্তু ভেতরে-ভেতরে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করতে শুরু করেন।

১৯৭১ সালের ১ মার্চ কোনো কারণ ছাড়াই ইয়াহিয়া ৩ মার্চ তারিখের নির্ধারিত অধিবেশন বাতিল করেন। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। সারা দেশে বিক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়। ঢাকা পরিণত হয় মিছিলের নগরে। বঙ্গবন্ধু সারা দেশে ৫ দিনের হরতাল ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তাঁর ডাকে সারা পূর্ব পাকিস্তান কার্যত অচল হয়ে পড়ে। সামরিক সরকার কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু এতে আন্দোলন প্রশমিত হয় না। হরতাল শেষে ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু তাঁর এই আগুনঝরা ভাষণ দেন। ভাষণের একপর্যায়ে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো হঠাৎ জ্বলন্ত লাভা যেন নির্গত হতে শুরু করল; ‘আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, তোমাদের ওপর (কাছে) আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।’

কী তেজোদ্দীপ্ত বলিষ্ঠ অঙ্গুলি প্রদর্শন! কী জোরালো হুংকার! মানুষ যখন ঘাটে ঘাটে প্রতারিত হয়, যখন ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, যখন তার কষ্টার্জিত প্রাপ্যটুকু অন্য কেউ ছিনিয়ে নিতে চায়, তখন যেমন অবস্থা হয়, তারই বহিঃপ্রকাশ এই ভাষণে প্রতীয়মান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর মনের পুঞ্জীভূত আসল কথাটি মূলত বাঙালি জাতির মনের কথা ভাষণের শেষের দিকে ঘোষণা করলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বাস্তবিকই এই ঘোষণার অপেক্ষাই বাঙালি জাতি করছিল। তাঁর এই ভাষণ গোটা জাতিকে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় উন্মাতাল করে তোলে।

৭ মার্চের এই দিক নির্দেশনা থেকেই মুলত স্বাধীনতার শপথে শুরু হয় লড়াইয়ের প্রস্তুতি। আর পশ্চিমা শাসকেরা গোলাবারুদ সৈন্যসামন্ত পূর্ব-পাকিস্তানে এনে বাঙালি নিধনের নীল নকশা তৈরি করে। সারা দেশ যখন ক্ষোভে উত্তাল, বর্বর ইয়াহিয়া খান ঢাকায় এসে শেখ মুজিবের সঙ্গে সরকার গঠন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে আলোচনার নামে শুরু করে প্রহসন।২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান সামরিক বাহিনীকে বাঙালি নিধনযজ্ঞের কুৎসিত, জঘন্য, বর্বরোচিত সিদ্ধান্ত দিয়ে সন্ধ্যায় গোপনে পশ্চিম পাকিস্তানে পালিয়ে যান।

শুধু বাংলাদেশ নয়, দেশের বাইরে সারা পৃথিবীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হবে। এ উদযাপনে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ থেকে শুরু করে সারা পৃথিবীকে সম্পৃক্ত করা হবে। সে অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

একই সঙ্গে সামরিক বাহিনী পূর্ব-পাকিস্তানে গণহত্যা চালানোর পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। বেলুচিস্তানের কসাই হিসেবে পরিচিত জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর করে ঢাকায় পাঠানো হল। সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব-পাকিস্তানে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র আনতে থাকে। ১০ মার্চ থেকে ১৩ মার্চের মধ্যে পাকিস্তান এয়ারলাইনস তাদের সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে পূর্ব-পাকিস্তানে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি যাত্রী পরিবহনের নামে সাদা পোশাকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সেনা আনা হয়। গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই পাকিস্তানি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে ভিড়তে থাকে। বন্দরের নাবিক ও শ্রমিকেরা মালামাল খালাস করতে অস্বীকার করে। এমনিভাবে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের একটি দল বাঙালি প্রতিবাদকারীদের ওপর গুলি চালাতে অসম্মতি জানালে বিদ্রোহ দেখা দেয়। যার মাধ্যমে শুরু হয় বাঙালি সৈনিকদের বিদ্রোহ। ঙালি জাতির অনেক আশা সত্ত্বেও মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক সফল হয়নি।

পূর্বপরিকল্পিত নকশা অনুযায়ীই ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তথা কথিত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করে, যার উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে একেবারে স্তব্ধ করে দেওয়া। বিশ্ব ইতিহাসে যুক্ত হয় গণহত্যার আরেকটি ঘৃণিত অধ্যায়।বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তার আগেই সহস্র বছরের সেরা বাঙালি অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনার রাতেই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেপ্তারের আগে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বিচক্ষণ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তা পাঠান। এই ঘোষণায় তিনি পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংগ্রামের জন্য বাংলার জনগণকে আহ্বান জানান।

শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তাটি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে প্রচারের জন্য, মধ্যরাতের কিছুক্ষণ পরে তা চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়। বর্বর পাকিস্তানিদের গণহত্যায় স্তম্ভিত জাতির মধ্যে সঞ্চালিত হয় শক্তি। গণহত্যায় ভীত-বিহ্বল জাতির ঘুরে দাঁড়ায়। স্বাধীনতার শপথে ঝাপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। অবশেষে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়। জাতি পেল একটি মানচিত্র, একটি পতাকা ও একটা ভূখণ্ড, প্রিয় বাংলাদেশ। পৃথিবী পায় একটি নতুন স্বাধীন দেশ।

এবারের মার্চ এসেছে বাড়তি তাৎপর্য নিয়ে।কারণ মুজিব বর্ষের মূল আয়োজন শুরু হবে ১৭ মার্চ সূর্যোদয়ের ক্ষণ থেকেই। ওইদিন সকালে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। ঢাকা ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় একই সঙ্গে অনুষ্ঠান শুরু হবে। ওইদিন সকালে টুঙ্গিপাড়ায় থাকবে জাতীয় শিশু দিবস নিয়ে নানা আয়োজন। এরপর বিকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে মূল আয়োজন, যাতে প্রকাশ করা হবে জন্মশতবার্ষিকীর বিভিন্ন স্যুভেনির, স্মারক বক্তৃতা, দেশী-বিদেশী শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আয়োজন করা হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। রাজধানীসহ সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, সড়কদ্বীপকে সাজানো হবে রঙিন সাজে।

জানা গেছে, ১৭ মার্চ অনুষ্ঠানের মূল পর্বে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত থাকবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, ইউনেস্কোর সাবেক মহাসচিব ইরিনা বুকোভা ও আরব লিগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। আমন্ত্রণের তালিকায় থাকা আন্তর্জাতিক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, ভারতের কংগ্রেস পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নেতা সোনিয়া গান্ধী, বিজেপির নেতা ও ভারতের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এলকে আদভানি, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ প্রমুখ।

১৮ মার্চ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে, যাতে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আমন্ত্রিত অতিথিরা। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার দিবস ও ৭ জুন ছয় দফা দিবস উদযাপন নিয়ে থাকবে নানা আয়োজন।

১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সর্বপ্রথম বাংলায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। তাই এ বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণ প্রদানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা হবে। একই দিন বাংলাদেশেও আলোচনা ও সেমিনার করা হবে। একই সঙ্গে দেশের সব স্থানে টিভি, রেডিও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ভাষণ প্রচার করা হবে। জেল হত্যা দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসে থাকবে আলোচনা সভা, সেমিনারসহ নানা আয়োজন। এ বছরের বিজয় দিবসও পালন করা হবে জাঁকজমকভাবে।

১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতির জনককে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেয়া হয়। ২০২১ সালের ওইদিনটিকে স্মরণীয়ভাবে পালন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ওইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। ২০২১ সালের ৭ মার্চ থেকে সাতদিনের কর্মসূচি ও জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন করা হবে।

জানা গেছে, বর্ষব্যাপী কর্মসূচি পালনে ২৯৬টি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে উদযাপন কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে আনন্দ আয়োজন, সেবা ও উন্নয়নের বিষয়গুলো, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রমাণ্যচিত্রের পরিকল্পনা, আন্তর্জাতিক প্রকাশনা, বঙ্গবন্ধুর নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণ, বাংলা ও ইংরেজিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জন্মশতবার্ষিকী স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ। এছাড়া ইউনেস্কোয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে পুরস্কার প্রবর্তনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন