করোনাভাইরাস: বিদেশ থেকে আসলে ঘরে থাকার পরামর্শ

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত সারাবিশ্বে ২ হাজার ৯৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে চীনে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর আক্রান্ত হয়েছে ৫৭৩ জন। বাংলাদেশে এ রোগের সংক্রমণ এড়াতে এসব দেশ থেকে কেউ কোনও উপসর্গ না নিয়ে দেশে ফিরলেও কয়েকদিন ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর)।

রোববার (১ মার্চ) সকালে আইইডিসিআর সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে হ্যান্ডশেক, কোলাকুলি পরিহারের আহ্বান জানিয়েছে।

এখন পর্যন্ত ৫৪ দেশে কভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ার তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে কোনো করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়নি। আমরা জানি, কেউ যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে কোনো দেশ থেকেই সেটা আসবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। তাই সেসব দেশ থেকে ফিরলেও তারা যেন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকেন। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে বের না হন।

ডা. ফ্লোরা আরও বলেন, এজন্য আমরা সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছি, যারা বাইরে থেকে আসবেন, তারা বিমানবন্দর থেকে বাসায় যাওয়ার পথে গাড়িতে মাস্ক ব্যবহার করবেন। সম্ভব হলে গণপরিবহনে না গিয়ে নিজস্ব যানবাহনে যাবেন, এ সময় পরিবহনের জানালা খোলা রাখবেন। আমরা অনুরোধ করছি, আপনারা আবশ্যিকভাবে বাড়িতে অবস্থান করুণ। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। যদি বাইরে যাওয়া খুবই দরকার হয়, তাহলে মাস্ক ব্যবহার করবেন।

আইইডিসিআর জানায়, আক্রান্ত দেশগুলোতে দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের খোঁজ নিচ্ছে আইইডিসিআর। করোনা প্রতিরোধে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

বিদেশ থেকে আসা কারও মধ্যে কোনো লক্ষণ দেখা দিলে আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

আইইডিসিআরের মতে, করোনা প্রতিরোধে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কিন্তু জনগণের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা ছাড়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

করোনা ভাইরাসে এ পর্যন্ত চীনে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। চীনের বাইরে ৫৭টি দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন