‘ঢাকা-১০ এ সংকোচিত প্রচারণায় সফল হলে নির্বাচনী বিধি পরিবর্তন’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, পরিবেশ দূষণের কথা বিবেচনা করে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচনী প্রচার সংকোচিত করা হয়েছে। এই আসনে এ পরীক্ষামূলক কার্যক্রমে সফল হলে নির্বাচনী বিধি পরিবর্তন করা হবে। পরবর্তীতে সব নির্বাচনে এর প্রয়োগ করা হবে। সোমবার (২ মার্চ) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ভোটার দিবসের র‌্যালির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে আমরা শুরু করেছি। ২১টি জায়গায় পোস্টার লাগানোর জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছি। আমরা বলেছি যে, পাড়ায় পাড়ায় মাইক ব্যবহার করা যাবে না। আমরা বলেছি যে, পথসভাও সংকোচিত করতে হবে। এতে কাজ হলে বিধি পরিবর্তন করে এটা প্রয়োগ করব।

তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের আগের নির্বাচনে দেখেছি যে, পোস্টারে সয়লাভ হয়ে যায়। অন্যান্য জায়গায়ও একই অবস্থা। মাইক ব্যবহার করায় শব্দ দূষণ হয়। এগুলো আমরা প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমাদের সমর্থন দিয়েছেন। এটা ইতিবাচক বিষয়। তারা নির্ধিদ্বায় সম্মত হয়েছেন যে, যেভাবে মাইকিং ও পোস্টারিং হলো বিশেষ করে গত সিটি নির্বাচনে, এটা কাম্য নয়।

নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের ও ভোটারদের আস্থা ফেরাতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপরে মানুষের আস্থা নেই বা আছে – এটা নির্ধারিত করে বলার কোনো সুযোগ নেই। ভোটার তারা ভোট দিতে যাবেন, নির্বাচন কমিশন ভোটের ব্যবস্থাপনা করবেন। ব্যবস্থাপনার দিক থেকে যা যা করণীয়, আমরা সব করেছি, করে থাকি বা থাকব। রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ – এগুলো করে থাকি।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনে এত বড় একটা নির্বাচন হয়ে গেল, শান্তি-শৃঙ্খলা একেবারেই নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল। এত বড় জায়গায় সামান্য একটু ধাক্কাধাক্কি ছাড়া সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি আমরা।

তিনি বলেন, ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত না থাকার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। এর জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী না।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ভোটার দিবস উদযাপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। পরে সংসদ ভবনের সামনে একটি র‌্যালি বের করা হয় যা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এতে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম, নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীরসহ ইসির সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, প্রথমবার ভোটার দিবস পালিত হয় ২০১৯ সালের ১ মার্চ। এখন থেকে প্রতিবছর ২ মার্চ দিবসটি উদযাপন হবে। গতবারের মতো এবারও দেশব্যাপী নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন