ধেয়ে আসছে করোনা, কতোটা প্রস্তুত বাংলাদেশ

বিশ্বজুড়ে ত্রাস এখন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। প্রতিদিনই নতুন নতুন দেশ আক্রান্ত হচ্ছে করোনাতে। ভাইরাসটির প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ায় প্রতিরোধ সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই বাড়ছে আতঙ্ক। করোনা হানা দিয়েছে পাশের দেশ ভারতে। দেশে করোনাভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত সন্দেহে বেশ কিছু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন পর্যবেক্ষণে রাখা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, এথন পর্যন্ত করোনা রোগীর সন্ধান মিলেনি। তবে আক্রান্ত দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকায় বাংলাদেশও ভাইরাসটি বিস্তারের শীর্ষ ঝুঁকিতে আছে। এ অবস্থায় প্রশ্ন ওঠেছে, করোনা ঠেকাতে গৃহিত পদক্ষেপগুলো কতোটা কার্যকর?

গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহান প্রদেশ থেকে এই ভাইরাসটির আবির্ভাব। তবে বিশ্বায়নের যুগে চীনে প্রকোপ কমলেও এই অল্প সময়েই বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পৃথিবীর প্রায় ৮৫টি দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশ্বে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ৭৮১ জনে।মোট মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৩০৫।

 

দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসটি বড় হুমকি তৈরি করেছে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য। কারণ বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক-পঞ্চমাংশেরও বেশি লোকের বাস এই উপমহাদেশে। যার প্রায় ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মানুষ আছে ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে। জনবহুল দেশ হওয়ায় এই তিন প্রতিবেশি রাষ্ট্রের উপরই হুমকিটা প্রকট। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্রমণকারীদের স্ক্রিনিংয়ের পদক্ষেপ বাড়িয়েছে ভারত। ইতোমধ্যে দিল্লীতে সকল স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নতুনভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়াতে দুর্বল চিকিৎসা অবকাঠামোগত কারণে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভারত ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর উহানকে অন্যান্য শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করাসহ চীন যেভাবে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে সেটি নজিরবিহীন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপল বলেছেন, এই অঞ্চলের ১১টি দেশের মধ্যে পাঁচটি দেশে এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ মিলেছে। অন্য তিনটি দেশ হলো- নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের বাকি দেশগুলো এখনো করোনাভাইরাসমুক্ত রয়েছে। তবে এ দেশগুলোকে এ ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় যোগ হয়েছেন দুই হাজার ২২৩ জন। মারা গেছেন ৩ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৬ জন। বাংলাদেশে এখনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। তবে পার্শ্ববর্তী ভারতে গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯-এ। ভারতের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, করোনায় আক্রান্ত ভারতের প্রকৃত পরিমাণ আরও বড় হতে পারে। মণিপাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির পরিচালক অরুনকুমার জি বলেছেন, ভারতে আক্রান্তের যে প্রকৃত সংখ্যা সংস্থার কাছে আছে, তার চেয়ে অনেক বেশি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তার আগে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে একজন বিদেশি পর্যটকের মাধ্যমেই প্রথম ভারতের করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। এছাড়া গত মঙ্গলবার ইতালি থেকে ভারতে ঘুরতে আসা ১৫ পর্যটকের দেহে করনোর সংক্রমণ পাওয়ায় বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ায় আশঙ্কা বাড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণায় ঝুঁকিপূর্ণ ২৫ দেশের তালিকায়ও রয়েছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস স্ক্রিনিং পরীক্ষা পর্যাপ্ত নয়। এজন্য বাংলাদেশের সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণের যেসব ব্যবস্থা তা বাংলাদেশের জন্য সন্তোষজনক নয়। আর তাই বাংলাদেশ করোনার ঝুঁকিতে থাকায় এর চিকিৎসা ব্যবস্থা বা কিভাবে ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব এবং নিয়ন্ত্রণে কতটুকু প্রস্তুত বাংলাদেশ, এ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের অধিকাংশ মানুষ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

করোনার গতিবিধির প্রতি চোখ রাখা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) দাবি, বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। দেশের হোটেলগুলোকে করোনা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে এবং তাদের করণীয় কী সেগুলো জানানো হয়েছে। করোনাভাইারাস মোকাবেলায় জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিন স্তরে কমিটি গঠন করা হয়েছে। করোনা মুক্তির সনদ ছাড়া ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও কুয়েতের যাত্রীদের বাংলাদেশে প্রবেশ ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।ডাক্তারদেরও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। দেশের বিমানবন্দরে বিশেষ যন্ত্র বসানো হয়েছে। বাইরের যেকোনো দেশ থেকে যারা দেশে প্রবেশ করছেন, তাদের শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি না তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া নৌ এবং স্থলবন্দরগুলোয়ও সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে।

করোনা ঠেকাতে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, আমরা মনে করি, আমাদের আশেপাশের দেশে যেহেতু করোনাভাইরাস এসে গেছে। বাংলাদেশেও যে আসবে না, এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। আমরা প্রায় সবসময় প্রস্তুত আছি, প্রস্তুতি আরও বৃদ্ধি করছি। করোনাভাইরাস চলে এলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। আগে থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে আছি। সারা দেশে একযোগে প্রায় ১০ হাজার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।আমরা নির্দেশনা দিয়েছি- যে কোনো দেশ, বিশেষ করে যে সমস্ত দেশ বা এরিয়া বেশি আক্রান্ত হয়েছে সেখান থেকে কেউ এলে তার স্ক্যানিং হবে এবং তিনি সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। ঢাকা শহরে তো আছেই, আমরা প্রতিটি জেলায় হাসপাতালগুলোর টপ ফ্লোরে আইসোলেশেন ওয়ার্ড করেছি। হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।তাদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে গাউন, মাস্ক, গ্লাভস দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি এবং প্রতিনিয়ত এসব সংগ্রহ করে সব হাসপাতালে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। সবমিলিয়ে করোনা প্রতিরোধে সবধরনের প্রস্তুতিই আমরা নিয়ে রেখেছি।

সরকারের পক্ষ থেকে করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হলেও আশ্বস্থ হতে পারছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট অনেকেই। তাদের মতে, দেশের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) অভাব রয়েছে। পাশাপাশি আইসোলেশনের ব্যবস্থাও নেই। এছাড়া ইমার্জেন্সি অ্যাম্বুলেন্স সমস্যা রয়েছে অধিকাংশ হাসপাতালের। তাই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বিপাকে পড়বে মানুষ।

এদিকে করোনাপ্রতিরোধে আইইডিসিআর সচেতনতার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায়। তাই কাশির সময়ে লালা যাতে অন্যের শরীরে না লাগে এবং সাবান পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধুতে হবে।

করোনাভাইরাস নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার জাতীয় রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা জানান, ভাইরাসটি নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৬ টি কল এসেছে। এর মধ্যে ১০৪টি কল কোভিড-১৯ সংক্রান্ত। আইইডিসিআরে সরাসরি সেবা নেয়ার জন্য এসেছেন ১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাদের কারও মধ্যে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

করোনাভাইরাস প্রতিহত করতে সচেতনতা প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ডা. মীরজাদী সাবব্রিনা বলেন, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতারও কেবল সরকারি পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। ঘরে ঘরে সচেতনতা প্রয়োজন। কেবল দুটি আচরণগত চর্চাতেই করোনাভাইরাস জনিত মারাত্মক রোগকে প্রতিরোধ করতে পারে। সেগুলো হচ্ছে- কাশি শিষ্টাচার এবং সাবানপানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখনও কোনও ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কার হয়নি। এ রোগের আলাদা চিকিৎসা পদ্ধতিও বের হয়নি। সাধারণ সর্দি কাশি বা শ্বাসকষ্টে যে ধরণের চিকিৎসা দেয়া হয়। বিশ্বব্যাপী সেটাই দেয়া হচ্ছে। তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়াটাই ভালো

এদিকে গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশসহ ২৫টি দেশ করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের জন্য ৩ কাটি ৭০ লাখ ডলারের জরুরি তহবিল দেয়ার অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউ), অন্যান্য বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং ইউএসএআইডির কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী অংশীদারদের পরিচালিত প্রকল্পের জন্য এ তহবিল দেয়া হচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিশ্রুত ১০ কোটি ডলারের প্রথম কিস্তি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল গঠন করেছে বিশ্বব্যাংক। গত বুধবার বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপ বৈশ্বিকভাবে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া রোগটির স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় এ তহবিল গঠন করা হয়। সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে এই মহামারি মোকাবেলা এবং সম্ভব হলে বিরূপ প্রভাব হ্রাস করতে সহায়তার লক্ষে এই তহবিল গঠন করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মালপাস বলেছেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই রোগের একটি দ্রুত প্রতিরোধের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ওই দেশগুলোতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আমরা কাজ করছি। আমরা যে ব্যবস্থাগুলো নিচ্ছি তার মধ্যে রয়েছে জরুরি অর্থায়ন, নীতি পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা বলেন তিনি।

এক গবেষণার ফলাফল উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যেসব কারণে করোনাভাইরাস ছড়ানো ঠেকানো যাচ্ছে না, গুজবও সেগুলোর একটি। আর এই গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি ছড়ানো হচ্ছে মূল ধারার গণমাধ্যমেও। গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি পোস্ট পাওয়া গেছে, যেগুলোর মাধ্যমে কোভিড-১৯ সম্পর্কে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এমন গুজবও পাওয়া গেছে যে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে এই ভাইরাস ছড়ানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ আটটি দেশের ২৭ জন বিজ্ঞানী গুজব ছড়ানোর সমালোচনা করে বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সমন্বিত লড়াই করার ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাপানের ওসাকা ইউনিভার্সিটি দাবি করেছে. কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক টিকা বানানোর গবেষণায় শিগগিরই সাফল্য আসবে। গবেষণায় পৃষ্ঠপোষকতা করছে দেশটির অন্যতম ওষুধ কম্পানি ‘অ্যানজেস’। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকা তৈরির কাজ এখন চুড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে এটি উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলেও প্রতিষ্ঠানটি আশাবাদী।

আপনি আরও পড়তে পারেন