নবাবগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় আহত-৭

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের মুসলিমহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানাযায়। এ হামলার শিকার হয়েছেন উক্ত উপজেলার মুসলিমহাটি গ্রামের খোকন (২৬) পিতা কোরবান খাঁ, পয়েল (৪০), রয়েল (৩০), পাপ্পু (২৪), আরাফাত (১৬) উভয় পিতা আমিন মোল্লা, মালেকা (৪৩) স্বামী ওয়াছেক বেপারী, আয়শা (১৩) পিতা মিরাজ বেপারী।
গত শনিবার ২১/০৩/২০২০ইং আনুমানিক রাত সাড়ে ৮ টার দিকে কবির মোল্লার বাড়ির সামনের রাস্তায় এ হামলার শিকার হয় বলে জানায় তারা।
হামলার শিকার খোকন দৈনিক আগামীর সময়কে জানায়, আমি, পয়েল ভাই ও রয়েল ভাই গোবিন্দপুর বাজারের মুদি দোকান ব্ন্ধ করে বাড়িতে ফিরতে ছিলাম মোটরসাইকেল যোগে পথিমধ্যে একটি ইজিবাইক দিয়ে রাস্তা আটকিয়ে ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপর হামলা চালায়। আমাদেরকে লাঠি, ছুড়া ও স্টীলের বড় টর্চ লাইটি দিয়ে নির্মম ভাবে পেটায়। আমাদের চিৎকার শুনে আমাদের বাড়ির ও আশপাশের লোক ছুটে এসে ফিরাতে গেলে আরও ৪ জনকে মারধোর করে। মারধোর করে পাশের খালের পানিতে ফেলে দেয়। এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের রক্তাক্ত ও জখমি অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। আমার হাত ভেঙ্গে ফেলেছে, রয়েল, পয়েল ভাইদের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে এখনও তারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
মামলার বাদি পারুল বেগম কান্নাকাটি করে দৈনিক আগামীর সময়কে জানান, আমরা মামলা করার পরেও পুলিশ আসামীদের ধরতেছে না। একদিন তদন্ত করতে আসছিল আর কোন কিছু করলো না। এছাড়া অভিযোগটি এখনও মামা রুজু করা হয়নি। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় ঐ দিন রাতেই ঐ এলাকার জাহাঙ্গীর মোল্লা (৫০) পিতা আমজাদ মোল্লা, কবির মোল্লা (৫2) পিতা ফালু মোল্লা, সবুজ (৩৫) পিতা সবের সরকার, সজিব (২৫) পিতা বাতেন মোল্লা, লিমন (২৫) পিতা হবি মোল্লা, মোতা (৪৫) পিতা বাদশা মোল্লা, করিম (৩৫) পিতা কোবা মোল্লা, হাসান মোল্লা (৩৫) পিতা কামাল মোল্লা, জিয়েম মোল্লা (৩৫) ও এমদাদ (২৫) পিতা কালা বিশ্বাস কে আসামী করে এবং অজ্ঞাত নামা কয়েকজন দিয়ে পয়েল, রয়েলের মা পারুল বেগম বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান।
ঐ এলাকার মজিবর রহমানের স্ত্রী মালেকা বেগম জানান, ঘটনার দুই দিন আগে আমি বাজার করতে বাজারে গিয়েছিলাম তখন পেয়াজের দাম নিয়ে পয়েল ও বিবাদী কবিরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঐ সময় জলিল চেয়ারম্যান, গালিমপুর পুলিশ ফারির ইনচার্জ কানন সাহেব, লিটন মেম্বার, বাছেদ চুড়াইন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ অনেকে পয়েল ও কবির কে মিলিয়ে দেয়। এছাড়াও পয়েলের মা ও কাকা কবিরদের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আসে। কিন্তু দুই দিন পরে কবির দলবল তৈরী করে রাতের অন্ধকারে পয়েল, রয়েল ও খোকন কে রাস্তায় আটকিয়ে মারধোর করে এবং খবর পেয়ে পয়েলের পরিবারের লোকজন ছুটে গেলে তাদেরকে ও মারধোর করে।
নবাবগঞ্জ থানার এসআই লিয়াকত হোসেন অভিযোগটির তদন্তে আছেন। তার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, এবিষয়ে মামলা হবে। তবে যদি আরও কিছু জানাতে চান তাহলে ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন