জগন্নাথপুরে বোরো ধান কাটা শুরু, শ্রমিক সংকটে হতাশাগ্রস্ত কৃষক কুল

 

মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি,জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

জগন্নাথপুরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধান কাটার ধুম না পড়লেও আংশিক ধান কাটা চলছে। করোনাভাইরাস সচেতনতায় গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারনে দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে ধান কাটার শ্রমিকরা না আসায় কৃষকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
৬ ই এপ্রিল রোজ সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাওর কন্যা খ্যাত কৃষি নির্ভরশীল সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরে সোনালী ফসল বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে।সোনালী ফসলের মৌ মৌ ঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। আংশিক জমিতে মালিক ও শ্রমিকরা সমান তালে তাল মিলিয়ে ধান কাটছেন । এ সময় ধান কাটা শ্রমিক ও জমির মালিকদের মধ্যে অনেকে বলেন, হাওরে হাওরে ধান কাটা শুরু হলেও শ্রমিক সংকটের প্রভাব পড়েছে। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জগন্নাথপুরে ধান কাটা শ্রমিকরা আসেন। এবার করোনাভাইরাস সচেতনতায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে শ্রমিকরা আসতে পারছে না। যে কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। যদিও এখনো পুরোদমে ধান কাটা পড়েনি। তবে আগামী সপ্তাহ ১০ দিনের মধ্যে ধান কাটার ধুম পড়ে যাবে। তখন শ্রমিক সংকটে ধান কাটা ব্যাহত হতে পারে। বর্তমানে আংশিক ধান কাটা চলছে। এতে শ্রমিক না পেলেও জমির মালিকরা নিজে ধান কাটছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার নলুয়ার হাওর বেষ্টীত চিলাউড়া -হলদিপুর ইউনিয়ন এর চিলাউড়া গ্রাম নিবাসী গীতিকার কৃষক মোঃ আর্শ্বাদ মিয়া বলেন, উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়ার হাওর সহ সবকটি হাওরে ধান পাকতে শুরু করেছে। আংশিক জমিতে ধান কাটা হচ্ছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সবকটি হাওরে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। তিনি নিজে ৪০ কেদার জমি আবাদ করেছেন। তমধ্যে অর্ধেক
জমির ধান পাকা। পরিবারের লোকজন সহ এলাকার ধান কাটার শ্রমিক নিয়ে ধান কাটছেন। হৃদয়ে অজানা আশংকা কখন জানি ঝড়তুফান আর শিলা বৃষ্টি হয়। অন্যান্য বছর দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ধান কাটার শ্রমিক আসলেও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা আসছেন না। সরকারি ভাবে অনুমতি পেলে শ্রমিকরা আসবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষক কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর মেম্বার মোঃ তারা মিয়া, মনাই মিয়া, সমুজ আলী ও সমছু মিয়া সহ অনেকেই হতাশাগ্রস্ত হৃদয়ে বলেন, হাওরে ধান পেকেছে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছেনা। নিজে নিজে আর কতো ধান কাটা যায়। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ধান কাটার শ্রমিকরা না আসায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে আছি। অজানা আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি। কখন জানি একমাত্র ভরসাস্থল সোনালী ফসল বোরোধান ঝড়তুফান আর শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপজেলাবাসীর খোড়াকী সোনালী ফসল বোরো ধান যথা সময়ে ঘোলায় তুলার লক্ষে দ্রুততার সহিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন কৃষকেরা।

আপনি আরও পড়তে পারেন